
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ সোমবার রাত থেকে টানা বর্ষনের জেরে দার্জিলিং পাহাড় এবং সিকিমের বিভিন্ন রাস্তায় ধস নেমেছে। ফলে বহু রাস্তা বন্ধ। কালিম্পং ও তার আশপাশে মোট ৪৬টি স্থানে ধস নেমেছে। কালিম্পং পার্শ্ববর্তী এলাকায় এই অল্প সময়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩৩৫ মিলিমিটার। বুধবার সকালের পর থেকে বৃষ্টি কমেছে। আর বৃষ্টি কমতেই পুলিশ প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ধস সরানোর কাজে নেমেছে। তার সঙ্গে সমস্যায় পড়া পর্যটকদেরও উদ্ধার করবার জন্য পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার বিকালের মধ্যে কিছু কিছু রাস্তা খুলেও গিয়েছে। অনেক পর্যটকদের উদ্ধার করা হয়েছে। হিমালয়ান হসপিটালিটি এন্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের বিশিষ্ট ট্যুর অপারেটর সম্রাট সান্যাল জানিয়েছেন, গরুবাথান থেকে লাভা রোড এবং আলগারা থেকে কালিম্পং রোড খুলে গিয়েছে। বহু পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের জন্য দুটি বিশেষ বাস বুধবার রাতে দেওয়া হয় শিলিগুড়ি তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে।এদিকে শিলিগুড়ি তথা উত্তর পূর্ব ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বালাসন সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বুধবার সকাল থেকে। ওই সেতুর পরিবর্তে সমস্ত যানবাহন শিলিগুড়ি নৌকাঘাট বা ইস্টার্ন বাইপাস দিয়ে যাতায়াত করছে। যারা ট্রেন বা বিমানে যাত্রা করবেন তাঁরা একটু আগে সময় নিয়ে গন্তব্যের দিকে রওনা দেবেন। কেননা রাস্তায় যানজটে আটকে পড়ে সময় নষ্ট হতে পারে। বালাসন সেতুর একটি পিলারে ফাটল দেখা দেওয়াতেই এই যান নিয়ন্ত্রণে আসে ট্রাফিক পুলিশ।
#বৃষ্টি_দুর্যোগ_পরিস্থিতি_নিয়ে
#শিলিগুড়ি_পুরসভায়_বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ কয়েকদিন যাবত অতি ভারি বৃষ্টির ফলে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা ।বুধবার শিলিগুড়ির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গা নগরের কিছু এলাকা পরিদর্শন করেন পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারম্যান গৌতম দেব।
শিলিগুড়ি পুর সভার সভাকক্ষে জরুরি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয় এদিন ।তাতে উপস্থিত ছিলেন পুর সভার প্রশাসক মন্ডলী এবং সমস্ত পুর আধিকারিকেরা ।এদিকে লাগাতার ভারি বর্ষণের ফলে জলের তোড়ে মাটিগাড়ার বালাসন সেতুর একটি খুঁটি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক এবং বাস্তুকারদের নিয়ে ওই সেতু বুধবার পরিদর্শন করেন পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারম্যান গৌতম দেব ।
#বালাসন_সেতু_পরিদর্শনে_বিধায়ক
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ বুধবার মাটিগাড়া বালাসন সেতুর ক্ষয়ক্ষতির অবস্থা পরিদর্শন করেন মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন । এদিন তারাবাড়িতে বালাসন নদীর চর এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের সরজমিনে দেখতেও যান তিনি। দুর্গতদের জন্য ত্রিপল ও প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করতেও উদ্যোগ নেন বিধায়ক*।
#ইউনিকের_ত্রান
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ মুষলধারে বৃষ্টির জেরে মাটিগাড়া বালাসন নদীর ধারে কিছু গরিব মানুষ সমস্যায় পড়েছে। এদিন এই খবরটি পাওয়া মাএই শিলিগুড়ি ইউনিক ফাউন্ডেশন টিমের সমাজসেবী শক্তি পাল তাঁর সহযোদ্ধাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। বালাসন নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে মাওড়িয়া বস্তির কয়েকটি বাড়ি।সেই সব নিরাশ্রয়দের অস্থায়ী শিবিরে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে পৌছায় ইউনিক ফাউন্ডেশন টিমের সদস্যরা।
