
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ দৌড় আর দৌড়। দৌড়ের নেশা এমনই যে অভাবকে জয় করতে ঘরের সোনা গহনাও বিক্রি করে দিয়েছেন সীমা।স্বামী, সন্তান, ঘরের কাজকর্ম সামলে এবং পরনিন্দা পরচর্চা ছেড়ে লাগাতর দৌড়ের নেশা চালিয়ে গিয়েছেন সীমা চক্রবর্তী। আর তাতে সাফল্যও পেতে শুরু করেছেন।কিছুদিন আগে তামিলনাড়ুতে অনুষ্ঠিত জাতীয় দৌড়ে প্রতিযোগিতায় পদক জিতে আসেন সীমা।তার রেশ মিলিয়ন যেতে না যেতেই হুগলির চুচুড়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক দৌড় প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল সহ অন্য প্রতিযোগীদের হারিয়ে সীমা তিনটি বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করে। তাঁর এই লড়াই এবং সাফল্য বিভিন্ন মহলকে উদ্দীপ্ত করছে। এবার বাংলাদেশের ঢাকায় অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক দৌড় প্রতিযোগিতায় যাওয়ার আগে সীমা চিন্তায় পড়েন সেখানে কিভাবে যাবেন।খবরের ঘন্টা সীমার এই প্রতিভাকে আরও উস্কে দিতে বিভিন্ন মহলের কাছে সীমার পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানায়।আর সেই আবেদনের জেরে অনেকেই এগিয়ে আসছেন।বিশিষ্ট এথলেটিক্স কোচ দেবকুমার দে ওরফে কানু, প্রশিক্ষক কার্তিক পাল,শ্রীবাস দাস,সুজয় দাম,তরাই ফুটবল গ্রাউন্ডের শিবির, সমাজসেবী ভাস্কর বিশ্বাস, ডঃ সংযুক্তা মৈত্র, কুন্ডুবাবু সবাই মিলে সীমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।শনিবার সকালে তরাই স্কুল মাঠে এক অনুষ্ঠানে সীমাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে প্রখ্যাত টেবিল টেনিস প্রশিক্ষক ভারতী ঘোষ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাথি দাস,স্বপন দাস,সমাজসেবী দীপজ্যোতি চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষক দেবকুমার দে জানিয়েছেন, সীমাকে তাঁরা বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য এখন পর্যন্ত কুড়ি হাজার টাকা তুলে দিতে পেরেছেন। আরও কিছু সহযোগিতা করা হবে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শিলিগুড়ি এন্ড স্মাইল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির কর্মকর্তা নবকুমার বসাকও শুরু থেকেই সীমার পাশে রয়েছেন। এখনও তাঁরা সীমার পাশে রয়েছেন বলে নবকুমারবাবু জানিয়েছেন। বিশিষ্ট সমাজসেবী জ্যোৎস্না আগরওয়ালা জানিয়েছেন, তাঁরা উত্তরবঙ্গ পৌষ মেলার তরফে সীমার পাশে রয়েছেন।
