কীভাবে বাচিক শিল্পী হলেন সুবীর ভট্টাচার্য

শিল্পী পালিতঃ আমাদের খবরের ঘন্টার সম্পাদক বাপিদার নির্দেশে এই আত্মকথা বিভাগে বিভিন্ন প্রতিভাবান শিল্পীদের কথা মেলে ধরা হচ্ছে। আজ বাচিক শিল্পী সুবীর ভট্টাচার্যের কথা তুলে ধরা হচ্ছে। কীভাবে তিনি বাচিক শিল্পী হলেন, সবটাই জানিয়েছেন —-

আমি সুবীর ভট্টাচার্য | জন্ম রায়গঞ্জ, স্কুল শিক্ষা রায়গঞ্জ| পিতা সরজিৎ ভট্টাচার্য অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরে। মা রেনুকা ভট্টাচার্য অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষিকা। স্কুল জীবনেই আমার আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এবং পুরস্কার জয়। তারপর থেকেই আবৃত্তি জীবনের অঙ্গ হয়ে যায়। রায়গঞ্জ কলেজে ইংরেজি ভাষা সাহিত্য নিয়ে পড়বার সময় থেকেই সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ। সেই সময় রায়গঞ্জের বাচিক শিল্পী শুভব্রত লাহিড়ীর সংস্পর্শ লাভ এবং নিবিড় ভাবে বাচিক শিল্প চর্চার সাথে যুক্ত হয়ে পরা।বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ নিরন্তর ভাবে বাচিক শিল্পর সাথে যুক্ত হয়ে থাকার অনুপ্রেরণা দেয়।উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করবার সময় থেকেই আবৃত্তি শিল্পী রজত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্পর্শ লাভ এবং শিক্ষা গ্রহণ। পরবর্তীতে প্রখ্যাত বাচিক শিল্পী প্রদীপ ঘোষের সংস্পর্শে আসা।তারপর চাকরীসূত্রে শিলিগুড়িতে পাকাপাকিভাবে আসা এবং বাচিক শিল্পের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অবাধ বিচরণ। আকাশবাণীর ঘোষক,আকাশবাণীর নির্বাচিত নাট্য শিল্পী, দূরদর্শন জলপাইগুড়ির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই সেখানকার আমি নির্বাচিত ( প্যানেল্ড) সঞ্চালক। দীর্ঘদিন ধরে ডি ডি বাংলায় নিয়মিত অনুষ্ঠান উপস্থাপনার কাজে যুক্ত। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক মঞ্চে আবৃত্তি এবং
সঞ্চালনার এক পরিচিত মুখ আমি ।বেসরকারি টি.ভি চ্যানেলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক সঞ্চালক এবং দীর্ঘ দিন সংবাদ পাঠের সাথেও যুক্ত আমি । উত্তরবঙ্গ নাট্যজগত পুরস্কার,কন্ঠস্বর পুরস্কার সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বাচিক সম্মানে ভূষিত হই। পরিবার জুড়েই সংস্কৃতির পরিবেশ। স্ত্রী জয়তী ভট্টাচার্য আকাশবাণী বিহাই রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী এবং নৃত্য শিল্পী। আমাদের শিল্পী দম্পতির আবৃত্তি সঙ্গীর যৌথ উপস্থাপনা এবং আবৃত্তি নৃত্যের উপস্থাপনা উত্তরবঙ্গ জুড়েই সমাদৃত। কন্যা শ্রীজ্যোতি ভট্টাচার্য ক্লাস টেনের ছাত্রী। সে ইতিমধ্যেই আকাশবাণীর কিশোর জগতের শিল্পী। আমি পেশায় উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক এবং পুরোপুরি বাচিক শিল্পে নিমজ্জিত একজন পরিপূর্ণ শিল্পী।