নিজস্ব প্রতিবেদন,শিলিগুড়িঃঃ খবরের কাগজে একটা ছবি দিয়ে সেই ছবি দেখে ছড়া লেখার আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই প্রথম কলম ধরা। চারলাইনের ছড়া লিখে প্রথম স্হান। কিন্তু সপ্তম শ্রেণীতে পড়া মেয়েকে লেখালেখিতে উৎসাহ যোগানোর চেয়ে পড়াশুনোয় আরো বেশী মনোসংযোগ করানোই ছিল
বাবা- মায়ের একমাত্র উদ্দেশ্য।কিন্তু প্রতিভার বিকাশ
ঘটে নীরবে,নিভৃতে। ডায়েরির পাতায় উঠে আসে কত না ছন্দ।এক দুটো ছোট গল্পও। কিন্তু সেসব অদেখা,অজানাই রয়ে যায়
দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তির। এ যেন ছিল তার নিজের সঙ্গে কাটানো কিছু ক্ষণ। তবে নবম শ্রেণীতে স্কুলের ম্যাগাজিনে প্রকাশিত স্বরচিত ছোট গল্প লিখে নজর কাড়েন শিক্ষক – শিক্ষিকাদের।ব্যস লেখালেখির পর্ব এখানেই শেষ।তারপর শিক্ষাজীবন শেষ করে সাংসারিক জীবনে প্রবেশ। সালটা ছিল ২০১০। হঠাৎ
মাথায় পুরোনো সেই নেশাটা চাগাড় দিয়ে ওঠে।সঙ্গে পান স্বামীর উৎসাহ। একটা রম্যরচনা লিখে এ শহরেরই এক নামী খবরের কাগজের অফিসে গিয়ে জমা দেওয়ার সাতদিনের
মধ্যেই ছাপা হয় তার সেই লেখা।
তারপর আর পেছনে ফিরে তাকানোর অবকাশ মেলে নি আজকের অন্যতমা কবি তথা লেখিকা কাকলি মুখোপাধ্যায়ের।
গল্প,কবিতা,ছড়া,প্রবন্ধ,অনুগল্প–সবেতেই তার অবাধ বিচরণ। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার,মাথাভাঙা,জলপাইগুড়ি, ইসলামপুর থেকে প্রকাশিত নানা পত্র- পত্রিকায় প্রায় নিয়মিত লেখেন। সঙ্গে চলে নানা অনুষ্ঠান সঞ্চালনার কাজ। সম্প্রতি অনলাইনে নির্ধারিত একটি বিষয়ের উপর চিঠি লেখা প্রতিযোগিতায় ৮২ জন প্রতিযোগীকে পিছনে ফেলে প্রথম পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছেন।পুরস্কারস্বরূপ ডাকযোগে হাতে এসে পৌঁছেছে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও সুধীন্দ্রনাথ সরকার সম্পাদিত” বাংলার রূপকথা ” বইটি। শ্রুতিনাটকেও দক্ষতা দেখিয়ে পেয়েছেন “পুরশ্রী” পুরস্কার।যুক্ত আছেন গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘ,সাহিত্য অঙ্গন,শিলিগুড়ি লিটারারী ফাউন্ডেশন সহ আরও কয়েকটি সাহিত্য সংগঠনের সঙ্গে। ছোটদের জন্য লেখা তার ছড়ার বই ” পটল ডাঙার পিসি ” ২০১২ সালে উওরবঙ্গ বইমেলা, শিলিগুড়ি থেকে প্রকাশিত হয়। মেলার মূলমঞ্চে বইটির আবরণ উন্মোচন করেন প্রখ্যাত গল্পকার স্বর্গীয় চোমং লামা ওরফে বিমল ঘোষ।উওরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রাপ্ত সাহিত্য স্মারকে যেমন রয়েছে তার ঝুলিতে তেমনি
বিধাননগর সোস্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি তাকে একজন সমাজসেবী হিসেবেও সম্বর্ধিত করেছে।এন. জে. পি গেটবাজার ক্যারামতলা ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের এই সক্রিয় সদস্যা সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি সমাজসেবার কাজেও নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।রক্তদান থেকে বস্ত্রদান— সবেতেই তার সহযোগিতা,ক্রমেই তাকে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
![](https://www.khabarerghanta.in/wp-content/uploads/2019/05/green-tea.jpg)