মোবাইল টাওয়ার তৈরিতে বাধা চলতে থাকায় ভয়ানকভাবে পিছিয়ে পড়ছে শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গ,উদ্বিগ্ন রিলায়েন্স জিও

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ করোনা পরিস্থিতি আমাদের সকলকে বুঝিয়ে দিয়েছে যে শক্তপোক্ত ইন্টারনেট প্রযুক্তি ছাড়া কোনও উপায় নেই। বিদ্যুৎ আর পানীয় জলের মতোই আজ জরুরি পরিষেবা হয়ে উঠেছে ইন্টারনেট। নেট ছাড়া পড়াশোনা, ব্যাঙ্কিং, চিকিৎসা কোনওকিছু চলতে পারে না। অথচ পরিবেশ বা মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় বলে যুক্তি এনে একদল মানুষ শিলিগুড়ি ও তার আশপাশে মোবাইল টাওয়ার বসাতে বাধা সৃষ্টি করছে। কিন্তু অযৌক্তিক এই বাধার ফলে শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গ নেট প্রযুক্তিতে পিছিয়ে পড়ছে বলে শনিবার খবরের ঘন্টাকে জানিয়েছেন রিলায়েন্স জিওর উত্তরবঙ্গের ম্যানেজার প্রবীর ঘোষ। তিনি বলেছেন, পরিবেশ বা মানুষের স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি করছে না মোবাইল টাওয়ার। এরজন্য তাঁরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে অন্যান্য গবেষণা পত্র মেলে ধরছেন। মোবাইলের টাওয়ার পরিবেশ বা মানুষের স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি করে না বলে তাঁরা বারবার বললেও কোনও কাজ হচ্ছে না। এখন বাধার ফলে রিলায়েন্স জিওর অনেক টাওয়ার তৈরির কাজ মাঝপথে থমকে যাচ্ছে। আর তাতে দুর্বল হয়ে পড়ছে শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গের নেট ব্যবস্থা। এতে সামগ্রিক ভাবে পিছিয়ে পড়ছে শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গ। করোনার পর থেকে প্রতিদিন শহর গ্রাম সর্বত্র মোবাইলের ব্যবহার বেড়েছে। প্রতিদিন মোবাইল সংযোগ বৃদ্ধি পেলেও টাওয়ার বাড়েনি।ফলে অতিরিক্ত চাপ পড়ছে পুরনো টাওয়ারগুলোর ওপর। এর জেরে নেট ব্যবস্থা শক্তিশালী করা যাচ্ছে না বলেও জানান প্রবীরবাবু।তিনি বলেন, শিলিগুড়ি ইস্টার্ন বাইপাসের পাশ দিয়ে তাঁরা একটি টাওয়ারও বসাতে পারেননি।শিলিগুড়ি পুর এলাকার ভক্তিনগর এবং প্রধাননগরে তাদের চারটে টাওয়ার এইসময় থমকে রয়েছে। গোটা উত্তরবঙ্গে তাদের ৭০টিরও বেশি টাওয়ার তৈরির কাজ থমকে রয়েছে।বাগডোগরা নকশালবাড়ি ফাসিদেওয়ায় আটটি টাওয়ার তৈরির কাজ আটকে গিয়েছে। দার্জিলিং পাহাড়ে আরও খারাপ অবস্থা। নেটওয়ার্ক জোরদার করতে শিলিগুড়ি ও তার আশপাশে রিলায়েন্স জিও এইসময় পচিশটি নতুন টাওয়ার বসানোর প্রকল্প গ্রহণ করেছে।সেসব টাওয়ার শুরু হয়ে গেলে আরও জোরদার নেটওয়ার্ক হবে। কিন্তু তাঁরা এজন্য মানুষের সহযোগিতা চান।