পদমবাহাদুর চান,প্রতিদিনই নেতাজি থাকুক ঝকঝকেতকতকে

বাপি ঘোষ,শিলিগুড়ি ঃ বুধবার 23শে জানুয়ারি সবাই দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবেন। কিন্তু তারপর থেকে আবার অনেকেই তাকে ভুলে যাবেন। অপেক্ষায় থাকবেন পরবর্তী ২৩ শে জানুয়ারির জ। কিন্তু কার্শিয়াং এর গিদ্দা পাহাড়ে নেতাজি স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক মিউজিয়ামে শুধু তেইশে জানুয়ারি নয়, প্রতিদিন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধার সঙ্গে ফুল মালা দিয়ে স্মরণ করে চলেছেন 73 বছরের বৃদ্ধ পদম বাহাদুর ছেত্রী।
তথাকথিত পন্ডিতদের মত বিদ্যা তার নেই। কিন্তু তিনি ভালবাসেন দেশনায়ককে। নেতাজি স্মৃতি বিজড়িত মিউজিয়ামে নেতাজির অনেক ছবি আছে। আছে নেতাজীর প্রতিকৃতি। রোজ দেশ-বিদেশের পর্যটকদের তিনি সেসব ছবি দেখিয়ে চলেছেন আর প্রতিদিনই সেসব ছবি পরিষ্কার করছেন। সেই সঙ্গে নেতাজিকে ফুল মালা দিয়ে পুজো করে চলেছেন। তার কথায়, নেতাজির মতো দেশ নায়ক আর একজনও নেই। শুধু তাই নয়, নেতাজি ঐতিহাসিক মিউজিয়াম এর জন্যই আজ তার রুটি-রুজি পরিবার চলছে।১৯২২ সালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর দাদা শরৎ বসু এই বাড়ি কিনেছিলেন। ১৯৩৬ সালের জুন মাস থেকে বেশ কিছুদিন নেতাজিকে এই বাড়িতে গৃহবন্দী করে রেখেছিল ব্রিটিশ সরকার। এই বাড়ি থেকেই হরিপুরা কংগ্রেসের ভাষণ লিখেছিলেন নেতাজি। গান্ধীজি, জহরলাল নেহেরুকে এই বাড়িতে বসেই অনেক চিঠি লিখেছিলেন তিনি।নেতাজির পরিবারের আত্মীয়দের কাছ থেকে 1973 সালে এই বাড়িটি দেখভালের দায়িত্ব পান পদমবাহাদুর। তারপর 2000 সালে রাজ্য সরকার এর সংস্কার করে নেতাজি ইনস্টিটিউট ফর এশিয়ান স্টাডিজের হাতে এর দায়িত্ব তুলে দেয়। তখন থেকে সরকারিভাবে সেখানে কেয়ারটেকারের কাজ করে চলেছেন পদমবাহাদুর। তিনি বলেন, 23 শে জানুয়ারি সবাই নেতাজি স্মরণ করবেন কিন্তু আমি প্রতিদিন নেতাজিকে ফুল দিয়ে স্মরণ করি। দেশের স্বাধীনতার জন্য নেতাজীর অবদান কখনো ভোলা যায়না। তাই কখনো নেতাজীর প্রতিকৃতি বা ছবিতে ময়লা পড়ুক তা তিনি চান না। তিনি চান, প্রতিদিনই নেতাজির ছবি থাকুক ঝকঝকে -তকতকে।