
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ মানুষ যা ভাবে আর বহিঃপ্রকাশ ঘটে তার কথায়, তাঁর ভাষায়। আর এক মানুষের সঙ্গে আর এক মানুষের যোগাযোগের বড় মাধ্যম অঙ্কন। কারন পৃথিবী জুড়ে বহু ভাষা, সবাই সব ভাষা বোঝে না। কিন্তু অঙ্কন এক বিশ্বজনীন ভাষা। মনের শোকদুঃখ বা চাপ কমাতে অঙ্কনের কোনো জুড়ি নেই। অন্তত শিলিগুড়ি ঘোঘোমালি ফল বাজার রোডের তরুন শমীক দত্ত এমনটাই মনে করেন। সদ্য ইংরেজিতে স্নাতক হয়েছেন শমীক।সামনে এম এ শেষ করে শিক্ষকতা পেশায় প্রবেশ করাই তাঁর লক্ষ্য। কিন্তু অবসর পেলেই পেন, চারকোল, পেন্সিল নিয়ে বসে পড়ে শমীক। ঘন্টার পর ঘন্টা সময় তাঁর চলে যায় নিখুঁতভাবে সেল্ফ পোট্রেট আঁকতে। আসলে ছোট থেকেই এ নেশা পেয়ে বসে এই তরুনকে এখনও তা চলছে। আসলে তাঁর জীবনে যা কিছু ঘটছে, যা অব্যক্ত যন্ত্রণা, মুখ ফুটে যে কথা কাওকে বলতে পারছেন না, অথচ কিছু বলার ছিলো, ফুটে উঠছে তাঁর অসাধারণ অঙ্কন শৈলীতে। এভাবেই ৫৭০ ঘন্টা মনোনিবেশ করে শমীক সৃষ্টি করেছেন ডেমন্স। একটি শান্ত সৌম্য চেহারা, যা বলে চলতে থাকা নিয়মের মধ্যে চলা, অপরটি সিস্টেমকে
বিদ্রোহ করে। এ এক অন্যমাত্রার সৃজন শমীকের আর সেই ছবি কলকাতার গোলপার্কে অনুষ্ঠেয় চিত্র প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেতে চলেছে। আঁকিয়েদের আড্ডা সেই প্রদর্শনী আয়োজন করছে ৪ মার্চ থেকে। সেখানে যোগ দিতে যাচ্ছেন শমীক।ওর প্রিয় চিত্র শিল্পী ভিনসেণ্ট ভ্যানগগ। ভ্যানগগকে অনুসরণ করেই অন্যরকন ব্যতিক্রমী চিত্র সৃজনে মত্ত এই তরুন প্রতিভাবান শিল্পী। ওর কথায়, ছবি আঁকার সময় একটি পজিটিভ ভাইভ তৈরি হয়। মনের স্ট্রেস সব হালকা হয়ে যায়। আর অঙ্কনের ভাষাতো মানুষে মানুষে বিশ্বজনীন মেলবন্ধন তৈরি করে।
