কম ওজনের শিশুদের অন্ধত্ব প্রতিরোধ করাই এখন চিকিৎসকদের কাছে চ্যালেঞ্জ

নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃ গোটা বিশ্বতো বটেই ভারতবর্ষেও চিকিৎসাবিজ্ঞান দিনকে দিন আধুনিক হচ্ছে। একটা সময় অত্যন্ত কম ওজন মানে ৭০০/৮০০ গ্রাম ওজনের শিশুকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব ছিল না।কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞান ও তার প্রযুক্তি আধুনিক হতে থাকায় ভারতজুড়ে শিশু বিশেষজ্ঞ- চিকিৎসকরা আজ কম ওজনের শিশুদের বাঁচিয়ে তুলছেন। কিন্তু নতুন সমস্যা তৈরি হয়েছে কম ওজনের শিশুদের অন্ধত্ব আটকানো। আর তা নিয়েই সচেতনতা,কর্মশালা,সমীক্ষা প্রভৃতিতে নেমেছেন সংশ্লিষ্ট শিশু চোখ বিশেষজ্ঞরা। শিলিগুড়িতে দ্য হিমালয়ান আই ইন্সটিটিউট শুক্রবার থেকে এনিয়ে এক কর্মশালার আয়োজন করেছে। শনিবারও চলছে সেই কর্মশালা। আর তাতে যোগ দিতে এসেছেন বেঙ্গালুরুর বিখ্যাত শিশু রেটিনা বিশেষজ্ঞ ডাঃ আনন্দ ভিনেকর। তার সঙ্গে এসেছেন কলকাতার প্রখ্যাত রেটিনা সার্জেন ডাঃ প্রণব দাস সহ আরও অনেকে।
শনিবার শিলিগুড়িতে স্থানীয় রেটিনা সার্জেন ডাঃ সঙ্গীতা ডি গোস্বামীকে সঙ্গে নিয়ে ওই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান,যেসব শিশুর ওজন ২ কেজির নীচে এবং যেসব শিশু ৩৪ সপ্তাহের আগে জন্ম নিচ্ছে সেখানেই তাদের মূল নজর। এসব শিশুর চোখের পর্দার সর্বত্র রক্ত পৌছায় না।ফলে তাদের চোখের রেটিনার গঠন অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় চলে যায়।সেই অবস্থা বা রোগকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয়,রেটিনোপ্যাথি অফ প্রি-ম্যাচিউরিটি। আর সেই সব শিশুর দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা হলে তাদের অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা সম্ভব। এই চিকিৎসায় তারা ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন বলে বিশেষজ্ঞ-চিকিৎসক ডাঃ আনন্দ ভিনেকর জানিয়েছেন। সেই কারনে তারা এনিয়ে সচেতনতা চাইছেন।এই চিকিৎসার জন্য অনেক আধুনিক যন্ত্রপাতিও চলে এসেছে। শিলিগুড়িতে তার এধরনের শিশু খুজতে সমীক্ষাও শুরু করেছেন। ডাঃ ভিনেকর এদিন বলেন,ভারতে বছরে আড়াই কোটি শিশুর জন্ম হয়।এরমধ্যে কুড়ি থেকে চল্লিশ লাখ শিশু কম ওজনের বা প্রিম্যাচিওর।