
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ সাধক ভবা পাগলার শিষ্য তথা মানবধর্ম ও আধ্যাত্মিক উত্তরন বিষয়ক বক্তা, লেখক ও সমাজসেবী আচার্য্য ডঃ গোপাল ক্ষেত্রী এইসময় শিলিগুড়ি এসেছেন। শিলিগুড়ি রবীন্দ্র নগরে শিষ্যা অসীমা চ্যাটার্জীর বাড়িতে এক অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকালে শিলিগুড়ি সুকান্তনগর জনকল্যাণ আশ্রমের সন্ধ্যারতি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি ভজন সঙ্গীতে অংশ নেন। সকালে তিনি সুকান্ত নগর লাফিং ক্লাবের মাঠে যোগ ব্যায়াম অনুষ্ঠানে যোগ দেন। দীঘাতে ভবার হরবোলা মন্দির ট্রাস্ট তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাছাড়া বঙ্গরত্ন থেকে ভারত ভূষন, ভারত অলঙ্কার, রাষ্ট্রীয় গৌরব প্রভৃতি নানা পুরস্কার তিনি পেয়েছেন। অথচ অতি সাধারন তাঁর জীবনযাত্রা, অহঙ্কার নেই। শিলিগুড়ি এসে সবার সঙ্গে সহজসরলভাবে মিশছেন। শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক দিয়েও তিনি কম নন,১৯৭১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বিজ্ঞানে স্নাতক উত্তীর্ণ হয়েছেন। ১৯৭৩ সালে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে বার কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। ২০১২ সাল তিনি ডক্টরেট পান।শিক্ষা থেকে শুরু করে আরও বহু উপাধি তাঁর রয়েছে। দীঘার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি ও পাহাড়ে আধ্যাত্মিক পর্যটনের কথা ভেবে তিনি একটি কেন্দ্র খুলতে চান। শান্তির প্রচার এবং ইতিবাচক ভাবনা নিয়েও কাজ করছেন এই অসামান্য ব্যক্তিত্ব ডঃ গোপাল ক্ষেত্রী। তিনি সবুজ পরিবেশের জন্য নিয়মিত গাছের চারা বিলি করেন মানুষের মধ্যে। তাঁর জন্ম ১৯৪৫ সালের ২৫ মে।তাঁর বাসস্থান কলকাতার রানী হর্ষমুখী রোড এবং বিডন স্ট্রিটে।আর আশ্রম পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘায়, ভবার হরবোলা মন্দির ট্রাস্টে।
