দৃষ্টিহীনদের দৃষ্টি ফেরাতে বিদেশ থেকেও কর্নিয়া আনছে লায়ন্স ক্লাব

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ  দৃষ্টিহীন মানুষের দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দিতে অনবরত কাজ করে চলেছে লায়ন্স ক্লাবের আই হসপিটাল। লায়ন্সের আই ব্যাঙ্ক রয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে দু-তিনজন মৃত ব্যক্তির পরিবার চোখ দান করার জন লায়ন্সের আই ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করছে।একজন মানুষের মৃত্যুর পর ছয়ঘন্টা পর্যন্ত চোখ ভালো থাকে।লায়ন্স ক্লাবের আই ব্যাঙ্কে খবর দিলে ছয় ঘন্টার মধ্যে লায়ন্স আই ব্যাঙ্কের টিম মৃত ব্যক্তির শরীর থেকে কর্নিয়া তুলে এনে অন্য একজন দৃষ্টিহীন মানুষের চোখে সেই কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করছে।আর তাতে সেই দৃষ্টিহীন মানুষের দৃষ্টি ফিরে আসছে।এমনকি দৃষ্টিহীন মানুষের দৃষ্টি ফেরাতে বিদেশ থেকেও কর্নিয়া নিয়ে আসছে লায়ন্স আই হাসপাতাল।লায়ন্স ক্লাবের বিশিষ্ট কর্মকর্তা তথা সমাজসেবী লায়ন সুরেশ সিনহল জানিয়েছেন, চোখের জন্য লায়ন্সের তিনটি হাসপাতাল কাজ করছে শিলিগুড়ি ও তার আশপাশে।
চোখের চিকিৎসা ছাড়াও আরও বিভিন্ন ব্যতিক্রমী সামাজিক ও মানবিক কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিদিন লায়ন্স ক্লাব সব মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করছে।যেমন, যেসব দরিদ্র মানুষের মৃত্যুর পর মৃতদেহ সৎকার করার মতো অর্থ নেই সেই পরিবারের তাদের হাতে মৃতদেহ সৎকার করার জন্য কিছু অর্থ তুলে দিতে চায় লায়ন্স ক্লাব। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে মোক্ষ।পয়লা জুলাই থেকে লায়ন্স ক্লাব এরকম বেশ কিছু মানবিক ও সামাজিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে চলবে বলে সুরেশবাবু জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন অনগ্রসর বালিকা বিদ্যালয়ে তাঁরা শীঘ্রই একটি দুটি করে শৌচাগার তৈরি করে দেবেন। লায়ন্স ক্লাব শীঘ্রই কিছু মেডিকেল ভ্যান গাড়ি শুরু করতে চলেছে, সেই গাড়িতে চিকিৎসকদের দল থেকে শুরু করে পরীক্ষানিরীক্ষার ব্যবস্থা,ওষুধ সব থাকবে।সেই ভ্যান বিভিন্ন অনগ্রসর এলাকায় গিয়ে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির করবে,তার সঙ্গে ওষুধ বিলি করবে।লায়ন্স ক্লাব গরিবদুঃখীদের মাত্র পাঁচ টাকায় আরও বেশি বেশি খাবার পৌঁছে দিতে আরও কর্মসূচি নিচ্ছে। সমাজের জন্য এরকম আরও একগুচ্ছ মানবিক ও সামাজিক কাজ সামনে শুরু হতে চলেছে। চলুন লায়ন সুরেশ সিনহল কি বলছেন, শোনা যাক।

বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —-