শরীরে অনেক বড় অপারেশন হলেও সঙ্গীত চর্চা ছাড়েননি শুভ্রাদেবী

শিল্পী পালিতঃ আমাদের খবরের ঘন্টা পত্রিকা প্রতি মাসে প্রকাশিত হয়। তার সঙ্গে চলছে এই ওয়েব পোর্টাল। মূলত ইতিবাচক ভাবনার খবরই এখানে থাকে। তার সঙ্গে বাপিদার নির্দেশে এই আত্মকথা বিভাগ চালু হয়েছে। বাপিদা আমার ওপর আত্মকথা বিভাগের লেখা সংগ্রহের দায়িত্ব ন্যস্ত করেছেন। তাই সঙ্গীত, শিল্পকলার বিভিন্ন প্রতিভাবানদের লেখা সংগ্রহ করে মেলে ধরার চেষ্টা করছি। আজ হাওড়ার বালি নিবাসী শুভ্রা মুখার্জীর আত্মকথা মেলে ধরা হল——-

—–আমার নাম শুভ্রা মুখাজ্জী।জন্ম হাওড়া জেলার বালিতে।
বাবা-শ্রী সুনীল কুমার ব্যানাজ্জী,মা-শ্রীমতি প্রনিমা ব্যানাজ্জী।আমি এক মাত্র কন্যা সন্তান,আমার তিন দাদা বর্তমান।আমার বাবা শিল্পী মানুষ ছিলেন,নিজের হাতে সরস্বতী ঠাকুর তৈরী করে পূজো করতেন।তিনি বিলেত ফেরত ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।আমি পড়াশোনায় বেশ ভালো ছিলাম,মাধ্যমিক,উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম বিভাগে পাশ করি।আমি বি এ পাশ করেছি।আমার সঙ্গীত চর্চা শুরু ৯ বছর বয়স থেকে।প্রথম জীবনে এক বছর রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চা করলেও পরে দীর্ঘ ১৪ বছর শাস্ত্রীয়সঙ্গীত চর্চা করি শ্রীদেবীদাস ব্যানাজ্জীর কাছে
আমি প্রাচীন কলাকেন্দ্র চন্ডীগড়ের সঙ্গীতবিশারদ পাশ করি।বিবাহ রক্ষনশীল পরিবারে হবার জন্য দীর্ঘ ১২ বৎসর গান বন্ধ হয়ে য়ায়। মন দুঃখে ভারাক্রান্ত থাকত।আমার বাবা,মা ও স্বামীর উৎসাহে আবার গান শুরু করি।চর্চা চলাকালীন বিবেকানন্দ মিশন স্কুল জোকায়, স্বামীজির জন্ম দিনে গান করি ও অধ্যক্ষার আদেশে ওখানে গানের শিক্ষিকা হই। এরপরে আরো দুটো স্কুলে গানের শিক্ষিকা হই। ইতিমধ্যে ১৯৯২ সালে আমার একটি পুএ সন্তান হয়। আমার স্বামী ইঞ্জিনিয়ার। পেশায় চাকুরীজীবি ও পারিবারিক ব্যবসা আছে।আমার পুত্রও ইঞ্জিনিয়ার ও বর্তমানে চাকুরীসুত্রে লন্ডন প্রবাসী।স্বামী-শ্রী মানস মুখাজ্জী,পুত্র মৈনাক মুখাজ্জী।
আমি অনেক মঞ্চেও ঘরোয়া অনুষ্ঠান করেছি।এখন বাড়িতেই দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ছাত্র ছাত্রী তৈরী করছি।গান আমার প্রান ও অন্তরের ভালোবাসা।এছাড়া আমি আঁকতে ভালোবাসি।রান্না করে মানুষ জনকে খাওয়াতে ভালোবাসি।এরই মধ্যে নানারকম শারীরিক প্রতিবন্ধকতা এসেছে। কিছু বড় অপারেশনও হয়েছে। সেগুলো মনের জোরে অতিক্রম করার চেষ্টা করেছি ও এখনো করছি।
ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে নানা রকম অনুষ্ঠান করি।প্রয়োজনে ছাত্র ছাত্রীকে বিনা পারিশ্রমিকেও গান শেখাই।আমি গান খুব ভালোবাসি এবং আরও ভালোভাবে গানটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমার দীক্ষাগুরু স্বামী “দেবানন্দমহারাজ জী”।
আমার পরম সৌভাগ্য উনি আমার গান শুনতে খুব ভালোবাসেন।
ওনার বিভিন্ন আশ্রমেও গান গেয়ে ওনার আশীর্বাদ পেয়েছি। এই অতি সাধারণ জীবন আমার। বর্তমান ঠিকানা – আকড়া কৃষ্ণনগর, থানা -মহেশতলা, কলিকাতা -৭০০১৪০.