
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ শরীরের যেমন অনেক অসুখ বিসুখ হয়, তেমনই মনেরও অনেক অসুখ হয়। শরীরে যেমন বিভিন্ন রকম ব্যথা হয়, মনেও তেমনই বিভিন্ন রকম ব্যথা হয়। আমাদের শরীরের ব্যথা হলে আমরা চট করে ডাক্তারের কাছে যাই কিন্তু মনের ব্যথা বা মনের অসুখ হলে আমরা তা বুঝতেও পারিনা। আর বুঝলেও তা অবহেলা করি বা ডাক্তারের কাছে যেতে চাই না। অথচ ওষুধের সাহায্যে যেমন শরীরের ব্যথা বা শরীরের রোগ কমে যায় তেমনই মনের অসুখও ওষুধের সাহায্যে এবং কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে সেরে যায়। তাই মানসিক রোগ নিয়ে আজ সর্বস্তরে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরী। সমাজ জীবনে জটিলতা, ব্যস্ততা যতই বাড়ছে সেই অনুযায়ী মনের রোগও বাড়ছে। এই মনের রোগ বিষয়ে সুন্দর করে সব মানুষকে সচেতন করলেন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলর সর্বানি রায়। তিনি একজন যোগা প্রশিক্ষকও। শুক্রবার উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল লাগোয়া কাওয়াখালী সুইট হোম চত্বরে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সহায়তা কেন্দ্রের উদ্বোধন হয়। ওয়েস্টবেঙ্গল ভলান্টারি হেলথ এসোসিয়েশনের উদ্যোগে মেনোনাইট সেন্ট্রাল কমিটির সহযোগিতায় এবং শিলিগুড়ি রাজবংশী রিপ মিনিস্ট্রির সহায়তায় সেই কেন্দ্র শুরু হয়েছে। শুক্রবার সেখানেই মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সুন্দরভাবে বক্তব্য পরিবেশন করেন সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলর সর্বানি রায়। সেই অনুষ্ঠানের বিষয়ে ওয়েস্টবেঙ্গল ভলান্টারি হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের সমাজসেবী তরুণ মাইতি জানিয়েছেন, প্রতি শুক্রবার দুপুর দুটা আড়াইটা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা ছাড়া এখানে মায়েদের স্বাস নিয়ে হবে আলোচনা হবে। আলোচনা হবে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও।এদিনের সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলার অন্যতম মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য, উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের স্কুল অফ নার্সিং এর অধ্যক্ষা সুতপা দত্ত, কাউন্সেলর সর্বানি রায়,মেনোনাইট সেন্ট্রাল কমিটির প্রকল্প আধিকারিক মধুর লাকড়া,শিলিগুড়ি রাজবংশী রিপ মিনিস্ট্রির সমাজসেবী কৌস্তভ দত্ত এবং রোজলি দত্ত সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—
