অন্ধকার গ্রাম থেকে শিলিগুড়ি এসে আজ আলো শিল্পী হিসাবে পরিচিত অপূর্ব

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ কোচবিহারের রসের কুঠি নামে এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে তিনি বহু বছর আগে শিলিগুড়ি শহরে আসেন। তাঁর সেই গ্রামে ছিল না আলো। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে একসময় তিনি শিলিগুড়ি শহরে প্রচুর সংগ্রাম করেছেন। কখনও শিলিগুড়ি হিলকার্ট রোডের একটি হোটেলে লিফটম্যানের কাজ করেছেন আবার কখনো কোনো স্থানে রাত পাহারার কাজ করেছেন। আজ তিনি নিজেই খুলেছেন প্রতিষ্ঠান। বহু মানুষ তাঁর প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। অন্ধকারে ডুবে থাকা গ্রাম থেকে উঠে এসে আজ তিনি বিভিন্ন স্থানে আলো সাজানোর গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন। কিছুদিন আগে হলদিবাড়ির বিরাট সেতুতে আলো সাজানোর কাজটি তিনিই করেছেন। আজ ইলেকট্রিক্যাল কনট্রাকটর হিসাবে তিনি একটি পরিচিত নাম উত্তরবঙ্গে। আলো শিল্পীও বলা যায় তাকে।শুধু নিজস্ব ইলেকট্রিক্যাল কনট্রাকটর হিসাবে নিজের প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রোগ্রুপকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজই তিনি করছেন না, সামাজিক ও মানবিক কাজও তিনি করে চলেছেন। রাত-বিরেতে কারও রক্তের প্রয়োজন হলে তিনি তৈরি। লায়ন্স ক্লাব অফ শিলিগুড়ি ডিগনিটির তিনি প্রজেক্ট ডিরেক্টর। রক্ত দানের ব্যবস্থা করে প্রতিদিন তিনি সামাজিক কাজে অংশ নিচ্ছেন। আবার অসহায় নিপীড়িত মানুষদের জন্য বস্ত্র দানের অনুষ্ঠানও করছেন। আলোর উৎসবের আগে শিলিগুড়ি জ্যোতিনগরের বাসিন্দা সেই অন্যরকম ব্যক্তিত্ব অপূর্ব ঘোষ জানালেন, চারদিকে আলো জ্বালানো মানেই তা আলোর উৎসব নয়। মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ানো,মুমূর্ষু মানুষকে রক্ত দান বা মানবিক ও সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ গ্রহনই হলো প্রকৃতপক্ষে আলোর উৎসব। চোখ দিয়ে দেখবার জন্যতো আলো প্রয়োজনই কিন্তু সামাজিক ও মানবিক দায়বদ্ধতাই আসল আলোর কাজ। আর সবাই সেই কাজে অংশ নিলেই সার্থক হয় আলোর উৎসব দীপাবলি। অপূর্ববাবুর এই সামাজিক ও মানবিক কাজ সর্বোপরি এগিয়ে যাওয়ার পিছনে বিরাট আলোর শক্তি হিসাবে কাজ করছে স্বামী বিবেকানন্দের বানী।