
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে ব্যর্থতা এড়িয়ে চলতে এবং নিরাপদ যাত্রা সুনিশ্চিত করতে সম্পদের রক্ষনাবেক্ষন আরও জোরদার করা প্রয়োজন। শীতের মরসুমের প্রতি লক্ষ্য রেখে নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল ইতিমধ্যে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। শীতের মরসুমের সময় রেলওয়ে ট্র্যাক রাতের বেলা সঙ্কুচিত হয় এবং দিনের বেলা প্রসারিত হয়। তাপমাত্রার আচমকা পরিবর্তনের ফলে কখনও কখনও রেলওয়ে ট্র্যাকে ফাটল সৃষ্টি হয় এবং এর ফলে নিরাপত্তা সম্পর্কিত বড় ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

এই বিষয়টির প্রেক্ষিতে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের অন্তর্গত সম্পূর্ণ রেললাইনে ফ্র্যাকচারপ্রবন অঞ্চলে ফ্র্যাকচার সনাক্ত করার উদ্দেশ্যে ব্যাপক পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে এন এফ রেলের মুখ্য জনসম্পর্ক রক্ষী আধিকারিক শুভানন চন্দ জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, সাধারণত খুব ভোরে অথবা রাতে, তাপমাত্রা যখন কম থাকে তখন এধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। সেজন্য রাতের বেলায় এবং সকালের দিকে কার্যকর প্রহরা দেওয়া যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, কেননা ওইসব সময় তাপমাত্রা যথেষ্ট কম থাকে এবং প্রহরীরা তাদের নিজ নিজ এলাকায় যথেষ্ট প্রতিকূলতাপূর্ন আবহাওয়ায় পাহারা দিয়ে থাকেন। তাছাড়া কোনো ধরনের ত্রুটি দেখা দিয়েছে কিনা দেখার জন্য রেল লাইনের সংযোগস্থলে এবং ওয়েল্ডিংগুলি নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ত্রুটিপ্রবন অঞ্চলগুলির সর্বাধিক এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নিয়মিত নিরীক্ষন করা হচ্ছে এবং গত পাঁচ বছরের তাপমাত্রার সঙ্গে তার তুলনা করে দেখা হচ্ছে। রেল লাইনের গড় তাপমাত্রা খুঁজে বের করে তাপমাত্রার তারতম্যের জন্য রেল লাইনের ফাটল দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা প্রতিরোধের জন্যই এই কাজ করা হচ্ছে। এদিকে এল ডব্লু আর( লং ওয়েল্ডেড রেলওয়ে) বিভাগসমূহও বিভাজিত করা হচ্ছে। আচরনগত কোনো পরিবর্তন হচ্ছে কিনা তা জানার জন্য তাপমাত্রা যখন কম থাকে তখন এস ই জে জয়েন্টগুলি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কিছু কিছু ফাটল সাধারণত খালি চোখে ধরা সম্ভবপর নয় বলে সেগুলি খুঁজে বের করতে আল্ট্রাসোনিক ফার্স্ট ডিটেকশন ডিভাইসও কাজে লাগানো হচ্ছে।
ট্র্যাকম্যান, টহলদার এবং কিম্যানদের যথাযথভাবে পরামর্শ এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে যাতে সনাক্তকরণ এবং কার্যকর ব্যবস্থা তারা গ্রহন করতে পারেন। শীতের মরসুমে প্রহরার ডিউটি করতে ফিল্ড স্টাফদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে ১)রিচার্জেবল টর্চ ২)ফগ সিগন্যাল ৩)২টি তিন রঙা হ্যান্ড সিগন্যাল পাম্প ৪) দুটি লাল পতাকা এবং একটি সবুজ পতাকা ৫)গাম বুট ৬)প্রতিরক্ষামূলক পোশাক ৭) সুরক্ষা জ্যাকেট ইত্যাদি। প্রহরীদের চলাফেরা নিরীক্ষনের জন্য কখনও কখনও জি পি এস ট্র্যাকিং ডিভাইস দেওয়া হয়ে থাকে।শীতের মরসুমে আবহাওয়া কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে। এর ফলে ট্রেন চালকদের দেখতে অসুবিধা হয়। সেজন্য সমস্ত সেকশনে বিভিন্ন ইন্ডিকেশন বোর্ড এবং লিফটিং ব্যারিয়ার গেটগুলি পুনরায় রং করা হয়েছে। অথবা যথাযথভাবে যাতে নজর পড়ে সেজন্য আলোকজ্জবল স্ট্রিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে।