নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃ শিলিগুড়ি হাকিমপাড়ার শরত বসু রোডে রয়েছে বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের স্কুল শিলিগুড়ি উদয়। শিলিগুড়ি শহর ছাড়া আশপাশের বিভিন্ন আধা শহর বস্তি থেকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের দুটি গাড়িতে করে স্কুলে এনে তাদের বিনা মূল্যে পড়ালেখা করিয়ে দুপুরের খাবার খাইয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় ওই সংস্থা ।এই সংস্থার পাশে এবার মানবিক মুখ নিয়ে এগিয়ে এলেন শিলিগুড়ি বিবেকানন্দ মিনি মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী অসিত সাহা।বুধবার অসিতবাবু তার প্রয়াত মা রেনু সাহা স্মরনে শিলিগুড়ি উদয়ের ৬০ জনেরও বেশি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর হাতে দুপুরের খাবার প্রদানের উদ্যোগ গ্রহন করেন।
ওদের কেউ কথাই বলতে পারে না।কারও মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটেনি। কেউবা অন্যরকম বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন।কিন্তু ওদেরতো সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে দেওয়া দরকার।অথচ ওদের অনেকের পরিবারে আবার অর্থ সঙ্কট তীব্র। ফলে ওরা আরও অবহেলিত।এই অবস্থায় শিলিগুড়ি উদয় মানবিক মুখ নিয়ে ওদের কথা ভাবছে। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর যাত্রা শুরু হয়েছিল শিলিগুড়ি উদয়ের। সমাজসেবিকা রীতা চৌধুরী শিলিগুড়ি উদয়ের জন্য এই মানবিক ভূমিকা প্রথম গ্রহন করেন।এখনও তিনি শিলিগুড়ি উদয়ের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন । সেখানে এখন আটজন শিখিকা রয়েছেন।এরমধ্যে ছজন বিনা পারিশ্রমিকে সেখানে কাজ করছেন। সেইসব শিশুদের লেখাপড়া করানো ছাড়াও ফিজিওথেরাপির বিশেষ বন্দোবস্তও রয়েছে যা ব্যতিক্রমী। বুধবার অসিতবাবুর সেই মানবিক মুখের ব্যতিক্রমী কাজকে উৎসাহ দিতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, মলয় রায়।সোমনাথবাবু জানিয়েছেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের মূল স্রোতে ফেরাতে শিলিগুড়ি উদয় যে কাজ করছে তা নজিরবিহীন।সকলের মানবিক মুখ নিয়ে শিলিগুড়ি উদয়ের পাশে থাকা দরকার।
![](https://www.khabarerghanta.in/wp-content/uploads/2019/05/green-tea.jpg)