
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ দেশ জুড়ে বুধবার বিকেল থেকে হইচই। গোটা দেশ কেন,গোটা বিশ্বেওতো মহাকাশ বিজ্ঞানী মহলে আলোচনা চলছে— পারে,ভারতবর্ষ পারে। হ্যাঁ,খবর হলো চাঁদ ছুঁয়েছে বিক্রম, সবাই জেনে গিয়েছেন। আর এই সফল উত্তরনের নেপথ্যে যেসব বিজ্ঞানী কাজ করেছেন তাদের মধ্যে কয়েকজন যে এই বাংলার মানে এই উত্তরবঙ্গের ভূমিপুত্র। হ্যাঁ,ঠিক ধরেছেন জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একজন দুজন নয়, ৬জন ছাত্র রয়েছেন সেই গর্বের তালিকায়
। এরা হলেন কৌশিক নাগ, নিরঞ্জন কুমার, সঞ্জয় দলুই, অমরনাথ নন্দী, সৌমিক সরখেল, মুকুন্দ কুমার ঠাকুর। এই ছাত্রদের অসামান্য কৃতিত্বে গর্বিত গোটা জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজ।এত বড় এক ঐতিহাসিক সাফল্য, কাজেই তা কি সেলিব্রেট না করে পারা যায়? বৃহস্পতিবার তাই বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সেই সাফল্য সেলিব্রেট করলেন কলেজের অধ্যক্ষ এবং অধ্যাপকেরা।বিতরণ করা হলো কয়েক হাজার লাড্ডু। জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ইতিমধ্যে পরিকল্পনা করে নিয়েছে,কৃতী ওই ছয়জন ছাত্র ফিরলে তাঁদের সংবর্ধনার মালায় ভরিয়ে দেওয়া হবে।
জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এই ৬জন মেধার অসামান্য সাফল্যের খবর শহরে ছড়িয়ে পড়তেই গোটা জলপাইগুড়ি শহরে উচ্ছাস ছড়িয়ে পড়েছে ।সেই মেধাবীদের এই মুহুর্তে কাছে না পেলেও তাদের গর্বের কলেজতো রয়েছে। কলেজের অধ্যাপক শিক্ষকরাও এইসব প্রতিভাকে শান দিয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার কলেজ কর্তৃপক্ষকে সংবর্ধনা জানাতে কলেজে ফুল মিষ্টি নিয়ে যান লায়ন্স ক্লাব অফ জলপাইগুড়ি জেনেসিসের সদস্যরা।
কলেজে সেলিব্রেশন শেষ করে বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে জলপাইগুড়ির কৃতি ছাত্র কৌশিক নাগের বাড়িতে যান জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ অমিতাভ রায়। কৃতী কৌশিক নাগের মা সোনালী নাগকে অভিনন্দন জানান তারা।
সোনালীদেবীর প্রতিক্রিয়া, কলেজের অধ্যক্ষ এদিন এসেছিলেন। খুব ভালো লাগছে । আমি প্রার্থনা করি, কলেজের সব ছাত্রই এভাবে এগিয়ে যাক, কলেজের মুখ উজ্জ্বল করুক।
জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ অমিতাভ রায় বলেন মিশন চন্দ্র যানে আমাদের কলেজের কৌশিক সহ মোট ছয় ছাত্রের সাফল্যে আমরা গর্বিত। বর্তমান ছাত্রদের উদ্দেশ্যে এই সাফল্যের কথা জানাতে শুরু করেছি। এই সাফল্য বর্তমান ছাত্রদেরও অনুপ্রানিত করবে।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—
