
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ দেখছেন এই বালিকাকে? নাক দিয়ে পাইপের সাহায্যে ওকে তরল খাবার দেওয়া হচ্ছে। ওকেতো বাঁচতেই হবে, মনের অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে ও বাঁচার চেষ্টা করছে। ও যাতে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে তারজন্য ওর পরিবারের সদস্যরাও চেষ্টা করছে। এখন এই প্রতিবেদন যারা দেখছেন বা শুনছেন তাদের সকলের মানবিক সহায়তা দরকার। মাত্র ১৩ বছর বয়সে মেধাবী ছাত্রর তৃষ্ণা দত্তকে আর আমরা এভাবে দেখতে চাই না।ওর বাবা কল্যান দত্ত সামান্য লটারির এক ডিস্ট্রিবিউটর আর মা মৌমিতা দত্ত গৃহবধূ।শিলিগুড়ি মহকুমার শিবমন্দিরের রামকৃষ্ণ সরনি মাস্টার পাড়ায় বাড়ি তৃষার।ওর চিকিৎসার জন্য পরিবারের সদস্যরা এখন পর্যন্ত কুড়ি লক্ষ টাকার ওপর খরচ করে ফেলেছেন শিলিগুড়ি শহরে। কিন্তু সমস্যা হলো সোনাগহনা সব বিক্রি করে এই নিস্পাপ ও মেধাবী বালিকার চিকিৎসার জন্য কুড়ি লক্ষ টাকা খরচ করার পরও শিলিগুড়ির চিকিৎসকরা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি,তৃষার আসলে রোগটা কি হয়েছে। আড়াই মাস আগে চিকিৎসা শুরুর প্রথম দিকে বলা হচ্ছিল, ওর ব্রেনে ইনফেকশন হয়েছে। তারপর টানা ৪২ দিন ধরে এক নার্সিং হোমের আই সি সি ইউতে চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা সর্বশেষ আপডেট দিয়েছেন, ওর এনকেফেলাইটিস হয়েছে।
এখন বাড়িতে এনে চিকিৎসা চলছে তৃষ্ণার। চলছে ফিজিওথেরাপি। দুএকজন চিকিৎসক আশ্বাস দিয়েছেন, একটু ওকে যত্ন নিয়ে ওষুধ খাওয়ালে এবং ধৈর্য ধরলে ধীরে ধীরে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে এই বালিকা।তৃষার ওষুধের পিছনেই খরচ হয়েছে দশ লক্ষ টাকা। আড়াই লক্ষ টাকা পাঁচটি বিশেষ ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে তৃষাকে।তারপর অভিযোগ, আন্দাজে কিছু পরীক্ষানিরীক্ষাও হয়েছে।
ওয়েস্টপয়েন্ট স্কুলের অত্যন্ত মেধাবী এবং শৃঙ্খলাপরায়ন এই ছাত্রীর বর্তমান অবস্থা দেখে স্কুলের শিক্ষিকা বীথি দত্ত, পায়েল কন্ঠরাও ডুকরে উঠছেন।আড়াই মাস আগে হঠাৎ একদিন জ্বর দেখা দেয় তৃষার।তার সঙ্গে বমি।তারপর কথাবার্তা বন্ধ, শারীরিক চরম দুর্বলতা। ওর বাবামা প্রানপনে নেমে পড়েন মেয়েকে সুস্থ করে তোলার জন।এই ডাক্তার, সেই ডাক্তারের কাছে শুরু হয় তাদের ছোটাছুটি। চলতে থাকে শিলিগুড়ির তথাকথিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরীক্ষানিরীক্ষা। শেষমেষ কুড়ি লক্ষ টাকা খরচ করিয়ে সাধারণ মধ্যবিত্ত সেই পরিবারটিকে সর্বস্বান্ত করে চিকিৎসকরা এখনো সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারলেন না,তৃষ্ণার আসলে রোগটা কি হয়েছে। ফলে যা হচ্ছে আর দশজনের ক্ষেত্র,এক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। তৃষার পরিবার বেঙ্গলুরু যাওয়ার কথা ভাবছেন, আসলে রোগটা কি হয়েছে তা জানার জন্য। কিন্তু শিলিগুড়িতেইতো সব টাকা শেষ, এবার বেঙ্গালুরুতে গিয়ে তাঁরা চিকিৎসা করাবেন কিভাবে? তাই সকলের সাহায্য চাইছে পরিবার। সকলের মানবিক সহায়তা, ভালোবাসা এবং আর্শীবাদে মেধাবী এই ছাত্রী আবারও আগের মতো সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে। সাহায্যের জন্য গুগল পে নম্বর 9832580236। ব্যাঙ্ক সম্পর্কিত বিবরণ হলো—Moumita Dutta,UCO Bank,A/C no. 26850110027011
IFSC code — UCBA0002685
যোগাযোগ নম্বর 9832829610
তৃষ্ণার মা মৌমিতা দত্ত জানিয়েছেন, চিকিৎসা শুরুর সময়ই তাঁর মেয়েকে অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন ছিল বলে কয়েকজন চিকিৎসক জানিয়েছেন। কেননা সেই সময় ওর মস্তিষ্কের ভিতরে অক্সিজেন সরবরাহ কম ছিলো। বিভিন্ন টেস্ট রিপোর্ট এই মুহুর্তে জানাচ্ছে, তৃষ্ণার শরীরে এখন নাকি কোনো রোগ নেই। সব নেগেটিভ। কিন্তু গলা দিয়ে ঢোক গিলতে পারছে না তৃষ্ণা। নিজে একা বিছানা থেকে উঠে চলাফেরা করতে পারছে না ও।শরীর অত্যন্ত দুর্বল। মুখ দিয়ে কথাও বের হচ্ছে না। যদিও নিউরো চিকিৎসক ডাঃ অমিতাভ মিশ্রের চিকিৎসা এবং ব্যবহারে খুশি তৃষ্ণার পরিবার। খবরের ঘন্টা চায় সকলের মানবিক সহায়তায় মেধাবী ছাত্রী তৃষ্ণা আড়াই মাস আগের সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুক।তাই সবাই মানবিক মুখ নিয়ে এগিয়ে আসুন,যার যা সামর্থ্য অনুযায়ী আপনারা সাহায্য সহযোগিতা করুন যাতে তৃষ্ণার কষ্ট দূর হয়,ও যাতে আবারও হাসতে পারে তার ব্যবস্থা করুন সকলে।এভাবে এক বালিকা শিশু আর কতদিন নাক দিয়ে পাইপের সাহায্য খাদ্য গ্রহণ করবে?
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —
