কলকাতা বইমেলায় কবিতা কবিতার প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হতে চলেছে

শিল্পী পালিতঃ আজ আমাদের আত্মকথা বিভাগে কলকাতা যাদবপুরের কবিতা কবিতা বা দেবযানী সেনের কথা প্রকাশ করছি।

আমি কবিতা কবিতা (দেবযানী সেন) । উত্তর চব্বিশ পরগনার ইছাপুরে জন্ম, বেড়ে ওঠা ও লেখাপড়া । বিবাহ সূত্রে বর্তমানে যাদবপুরের বাসিন্দা । নিম্ন মধ্যবিত্ত পারিবারিক পরিমণ্ডলে জন্মানো সত্তেও কখনও আপোস করে চলতে হয় নি। মায়ের অবদান আমার জীবনে অনস্বীকার্য । বাড়িতে সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল ছিল, দাদু ,ঠাম্মা বাবা,কাকারা কন্ঠ সংগীত, যন্ত্র সংগীত, আঁকায় পারদর্শী ছিল। তাদেরই দেখে শেখা কিন্তু বই পড়ার শখ বা নেশা আমার মায়ের থেকে পাওয়া । ডিটেকটিভ গল্প পড়া এখনও আমার নেশা। ব্যারাকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে ইতিহাসে সান্মানিক নিয়ে পাশ করি। বাবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। পিঠোপিঠি দুই বোন, তাই বিয়ে হয়ে যায় । বিবাহ পরবর্তী জীবন খুবই ভয়াবহ ছিল, ভাবলে এখনও শিউরে উঠি। কিন্তু স্বামী সুব্রত সেনকে বন্ধুর মতো সবসময় পাশে পেয়েছি, ঈশ্বরকে অশেষ ধন্যবাদ ।পারিবারিক সবরকম অত্যাচারের হাত থেকে আমাকে আগলে রেখেছেন আমাকে আমার শখ ও ভালোলাগার বিষয়গুলিকে গুরুত্ব প্রদান ও তুলে ধরার মধ্য দিয়ে আমার স্বাধীনতাকে খর্ব করেননি। সন্তানও ভীষণ আগ্রহী আমার সাহিত্যচর্চা নিয়ে ।আমার বহু কবিতার সূত্রধর আমার সন্তান ।

ফেসবুকের কাছে চিরকাল ঋণী থাকব। ফেসবুক আমাকে সাহিত্য জগতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।যদিও আমি আদ্যোপ্রান্ত সাহিত্যিক সুকুমার রায় এর অন্ধ ভক্ত । কিন্তু কবিতা লেখা শুরু ফেসবুকে এসে। সেই সৌজন্যে এবং কিছু সাহিত্যিক বন্ধু বান্ধব, কবি, গল্পকারের সাহচর্য পেয়ে কবিতা কবিতা নামে পরিচিতি । এই পরিচিতি বন্ধুদেরই দান। তাদের ভালোবাসা ও আশীর্বাদের ফল। বীণাপাণি শিল্পীও তাদের মধ্যে অন্যতম । এই বহুল খ্যাতি সম্পন্না গায়িকা ও উদার মনের মানুষ জীবনে খুব কম দেখেছি। আমার সৌভাগ্য বন্ধু বীণাপাণি আমাকে আরও মানুষের কাছে পৌছৈ দেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।

ভাগ্যের কথা কি আর বলি না চাইতেও পাওয়া যদি কিছু হয় তবে তা বিশ্বাস, ভালোবাসা ও সম্মান, সুষ্ঠ ব্যবহারে তার পরিচয় দিয়ে যাবে সাহিত্য সৃষ্টির মাধ্যমে ।

আগামী বছর কোলকাতা বইমেলায় আমার লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হতে চলেছে। বন্ধুদের ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা একান্ত কাম্য ও আমার পথচলার পাথেয় । শেষ তিনটি লাইনে আমার জীবনাদর্শ, আমার ঈশ্বরকে সমর্পিত –

“জন্ম মৃত্যু তো অধ্যায় মাত্র
মহাকাব্য হোক বা উপন্যাস
তুমিই কেন্দ্রীয় চরিত্র “।।