
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ এই মেয়েরা হতদরিদ্র। বেশিরভাগই চা বাগানের বস্তিতে বসবাস করে। এদের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে পাচারকারীরা এদের অন্যত্র পাচার করে দিয়েছিলো।কিন্তু সেই পাচারকারীদের অসভ্য ব্যবসার খপ্পর থেকে বেরিয়ে এই কিশোরীরা এখন নবদিশা তৈরি করতে চলেছে। শিলিগুড়িতে রয়েছে দার্জিলিং ডিসট্রিক্ট লিগ্যাল এইড ফোরাম। সেই সংস্থার সভাপতি হলেন আইনজীবী অমিত সরকার। অমিতবাবুর উদ্যোগ ও পরিচালনায় তরাই ও ডুয়ার্স চা বাগানের পাচারের শিকার একশজন কিশোরীকে মূল স্রোতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই সব কিশোরীর অসহায় অবস্থা হলো দারিদ্র্য। আর তাদের সেই অসহায়তা কাজে লাগিয়ে তাদের শরীর বিক্রি করার কাজে নামে পাচারকারীরা।কিন্তু পাচারকারীদের খপ্পর থেকে একশোর বেশি কিশোরী পালিয়ে চলে এসেছে।এরমধ্যে তরাইয়ের বন্ধ থাকা পানিঘাটা চা বাগানের কিশোরী যেমন রয়েছে তেমনই ডুয়ার্সের তিনটি ব্লকের কিশোরী রয়েছে। তরাইয়ের আরও কিছু কিশোরী রয়েছে। আর এদেরকেই স্বনির্ভর করতে একটি বহুজাতিক সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে দার্জিলিং ডিসট্রিক্ট লিগ্যাল এইড ফোরাম। সংস্থার সভাপতি অমিত সরকার জানিয়েছেন, এইসব কিশোরীকে তৈরি হয়েছে নবদিশা স্বনির্ভর গোষ্ঠী।সেই গোষ্ঠীর মাধ্যমে রুটি, পরোটা, আচার, মোমো তৈরির প্রশিক্ষণ নিচ্ছে এই মেয়েরা।এরপর এরা সেসব বিক্রি করবে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখেই তারা ওইসব খাদ্য সামগ্রী তৈরি করবে।তারপর অন্য হস্তশিল্পের কাজও করবে তারা।আর তাদের যা লাভ হবে তার কিছু অংশ তারা দান করবে মুখ্যমন্ত্রীর আপৎকালীন তহবিলে। এভাবেই এক নবদিশার পরিবেশ তৈরির প্রয়াস শুরু হয়েছে
