নিজস্ব প্রতিবেদন,শিলিগুড়িঃ ছোটবেলায় রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল প্রশান্ত রায়কে। আজ ওর বয়স ১৮ পেরিয়েছে। আজও ওর বাবামা বা অভিভাবকদের সন্ধান মেলেনি।অথচ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কনসার্ন হোমের তত্বাবধানে ওর পড়াশোনা এগিয়েছে । প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ এগিয়েছে হোমের তত্বাবধানেই। হোমের তত্বাবধানেই একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তি করা হয় তাকে।সেখান থেকে চলতি বছরে মাধ্যমিক পাশ করে প্রশান্ত।কিন্তু একাদশ শ্রেণীতে তার পড়াশোনা নিয়ে চিন্তা বাড়ছিলো। শেষে ড্রীম হ্যাভেন পাব্লিক চ্যারিটেবল এডুকেশনাল ট্রাস্ট প্রশান্তর পড়াশোনার উদ্যোগ গ্রহন করলো। ট্রাস্টের সম্পাদক ঘনশ্যাম মিশ্রের প্রয়াসে প্রশান্তকে ভর্তি করা হয়েছে নকশালবাড়ি হাতিঘিষার সেন্ট ভিনসেন্ট হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে।সেখানকার ছাত্রাবাসে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে তার। শুক্রবার ট্রাস্টের সভাপতি সি এ এস এন ভট্টাচার্য শিলিগুড়ি হিলকার্ট রোডে প্রশান্তর হাতে কিছু টাকা অর্থ সাহায্যও করেছেন।সেখানে সি এ ঘনশ্যাম মিশ্র এবং কনসার্ন হোমের তরফে তাপস কর্মকারও উপস্থিত ছিলেন।এবার মাধ্যমিকে ৮৫ শতাংশের কিছু বেশি নম্বর পায় প্রশান্ত।তারপর তার পড়াশোনা নিয়ে চিন্তা তৈরি হয়। খবর পেয়ে এগিয়ে আসে ড্রীম হ্যাভেন পাব্লিক চ্যারিটেবল এডুকেশনাল ট্রাস্ট । ট্রাস্টের সভাপতি এস এন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন,তারা ২০০৯ সালে এই ট্রাস্ট তৈরি করেন। এখন পর্যন্ত সত্তর জন দুঃস্থ এবং মেধাবীর পাশে দাড়িয়েছেন। তারমধ্যে দুজন ডাক্তার হয়েছে,ইন্জিনীয়ার রয়েছেন ছয় জন। তার বাইরে আরও টেক্সটাইল ইন্জিনীয়ার রয়েছেন। দুঃস্থ ও মেধাবীরা এই ট্রাস্টে সাহায্যের জন্য আবেদন করতে পারে এই নম্বরে,০৩৫৩২৫২৬০৭৬ ।