
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ যানজটে অস্থির হয়ে উঠছে শিলিগুড়ি। পুজোর মুখেতো যানজট আরও বাড়তে শুরু করেছে। আর অনবরত যানজট বাড়তে থাকায় শহরটা পিছিয়ে পড়ছে।অনেক শ্রম দিবস নষ্ট হচ্ছে। যানজটে আটকে থাকায় অনেক মুমূর্ষু মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠছে। যানজটে আটকে থাকায় অনেক চিকিৎসক জরুরি রোগী দেখতে গিয়ে উদ্বেগের মধ্যে পড়ছেন। সবচেয়ে বড় কথা ব্যবসাবানিজের শহর শিলিগুড়িতে কেনাকাটাও অনেক মার খাচ্ছে। আজকাল অনলাইন শপিং বাড়তে থাকায় মার্কেটের ব্যবসায়ীরা চিন্তিত। কিন্তু তারমধ্যে যানজট চলতে থাকায় অনেক ক্রেতা যানজট এড়াতে মার্কেটে নামছেন না। সবমিলিয়ে এই যানজট শহরের জন্য একদমই শুভ নয়।এই পরিস্থিতিতে যানজট কিভাবে কমানো যায় তা নিয়ে শিলিগুড়ির নতুন পুলিশ কমিশনার সি সুধাকরের সঙ্গে বৈঠক করলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। শিলিগুড়ি পুরসভার প্রধান কার্যালয়েই ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় । বৈঠকে ট্রাফিক সমস্যা মোকাবিলায় কি কি করা প্রয়োজন সে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের পর মেয়র গৌতম দেব বলেন, অটো টোটোর যাতায়াতের জন্য একটি রূপরেখা তৈরি করা হবে পুজোর পর। যে সমস্ত টোটোর নম্বর রয়েছে সেই সব টোটো আপাতত প্রধান রাস্তায় চলাচল করতে পারবে। কিন্তু পুজোর পর টোটো এবং অটোর জন্য আলাদা আলাদা রুট তৈরি করা হবে। আর সেজন্য ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে শিলিগুড়ি পুলিশ। তবে শহরের মধ্যে ট্রাক দাঁড় করিয়ে লোডিং আনলোডিং এর কাজ এবার করা যাবে না। এর বিরুদ্ধে পুলিশ এবং পূরসভা একসঙ্গে কাজ করবে বলে মেয়র জানিয়েছেন। মেয়র আরও জানিয়েছেন, শিলিগুড়ি শহরের বেশ কিছু রাস্তা এবার চওড়া করা হবে। একাধিক জায়গায় তৈরি হবে পার্কিং। পুজোর আগেই সব পার্কিংয়ের কাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে পুর সভার । শহরের নতুন পুলিশ কমিশনারকেও এদিন স্বাগত জানান মেয়র। এদিকে শহরের মধ্যে কিছু কিছু স্থানে বিল্ডিং নির্মানের জন্য রাস্তার ধারে বালিপাথর ফেলে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তার জেরেও অনেক স্থানে যানজট হচ্ছে।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—
