নিজস্ব প্রতিবেদন ঃঃ পুজো মানে অসহায়, দুঃখী মানুষদের আনন্দে রাখা। বহু অনাথ শিশু রয়েছে যাদের মন দুঃখে ভারাক্রান্ত থাকে উৎসবের দিনগুলোতে। এই সময় তারা আরও বেশি করে প্রিয়জনের জন্য ছটফট করে। বাবামা না থাকার জেরে তাদের ভিতরটা হয়ে ওঠে পাথরের মতো। তাই এইসব অসহায় দুঃখী মানুষদের আনন্দে রাখার চেষ্টাই হলো পুজোর আসল সার্থকতা। শনিবার শিলিগুড়িতে এরকমই একটি মানবিক ও সামাজিক ধর্ম পালন করে নজির তৈরি করলেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী স্বপন দে।
শিল্পী স্বপনবাবুর সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। নাম সপ্তক সঙ্গীত একাডেমি। সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে এদিন মনপ্রাণ ঢেলে স্বপনবাবুরা আগমনীর গান গাইলেন। শিলিগুড়ি টিকিয়াপাড়ার পরমানন্দ যোগানন্দ অনাথ আশ্রমে ওই অনুষ্ঠানটি হয়। স্বপনবাবু ও তার ছাত্রছাত্রীদের ওই অনুষ্ঠানের জেরে আনন্দে উদ্বেলিত হয় অনাথ আশ্রমের আবাসিক শিশুরা। তারাও তখন সকলে মিলে গান গাইতে শুরু করে। তারা তখন মনে করতে থাকে যে এই সোসাইটির বাইরে নয় তারা। সেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর স্বপনবাবুরা ওই অনাথ শিশুদের হাতে পুজোর নতুন জামাকাপড় তুলে দেন। তারপর তাদের দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা হয়। স্বপনবাবু জানান, তিনি আশ্রমের শিশুদের সঙ্গীত প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করবেন। আশ্রমের সঞ্জয় মহারাজ স্বপনবাবুদের এই প্রয়াসের তারিফ করেন। অন্যদিকে একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা মৌমিতা সাহা তার জামাইবাবু বিজয় ভট্টাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে এদিন ওই আশ্রমে খাবার বিলি করেন। তার পাশাপাশি শিশুদের হাতে পুজোর নতুন জামাকাপড় তুলে দেন। মৌমিতাদেবী বলেন, তিনি তার বান্ধবীদের সহযোগিতা নিয়ে এই কাজটি করতে পেরেছেন। উৎসবের দিনগুলোতে এই শিশুরা যাতে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন মনে না করে সেজন্যই তাদের ওই আয়োজন।