শিলিগুড়ি সেভক পাহাড়ের মন্দিরে শ্যামাপুজোর প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়ি ঃঃ মন্দির সেখানে কবে শুরু হয়েছিল তা কেও বলতে পারেন না। তবে ১৯৫২ সাল থেকে মন্দিরে শুরু হয় পুজো। তারপর মন্দির ২০০৫ সালে আরও বড় হয়। সিকিম,কালিম্পং বা ডুয়ার্স যাওয়ার পথে জাতীয় সড়কের পাশে সেভক বাঘপুল থেকে খানিক আগেই এই সেভকেশ্বরী কালি মন্দিরের অবস্থান। সেই মন্দিরে এখন দীপান্বিতা কালি পুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। ঝাড়পোছ ও রং করা হচ্ছে মন্দিরের রেলিং , সিঁড়ি প্রভৃতি। পর্যটক সহ অন্য অনেক ভক্তের কাছে এই মন্দিরের বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। সকাল আটটায় প্রতিদিন মন্দির খোলে। দুপুর একটায় ভোগ নিবেদন করা হয়। দেড়টা পর্যন্ত ভোগ পর্বের পর ভোগের প্রসাদ বিতরন ও পুজো চলতে থাকে।সন্ধ্যে ছটায় আরতির পর বন্ধ হয় মন্দির। রাস্তা থেকে ১০৭ টি সিঁড়ি টপকে মন্দিরে শ্যামা মায়ের বিগ্রহের কাছে যেতে হয়। অনুমান করা হয়,এমন্দির সাড়ে তিনশ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এই মন্দির বহু ভক্তের পাশাপাশি পর্যটকের কাছে একটি বিরাট দ্রষ্টব্য স্থান। মন্দিরের পর্যবেক্ষক স্বপন বসু জানালেন, মন্দিরে ভক্তরা যে যা দান বা দক্ষিনা দেন তা দিয়েই চলে মন্দিরের বিভিন্ন কাজ ও সেবা। যেসব শাড়ি জমা পড়ে তা দুঃস্থদের মধ্যে বিলি করা হয়। তাছাড়া কখনও বন্যা ত্রান বা অন্যকোনও সামাজিক কাজ করা হয় দানের অর্থে। এবারে দীপান্বতা অমাবস্যায় রাত দশটা থেকে ভোর ছটা পর্যন্ত দেবী মায়ের পুজো ও যগ্গ হবে। পরে দুদিন ধরে প্রসাদ বন্টন করা হবে। সম্পাদক অচিন্ত্য বর্ধনের নেতৃত্বে নতুন কমিটি আসার পর দুপুর দুটা থেকে এখন ভোগের প্রসাদ প্রতিদিন বিলি হয় বলে জানান স্বপনবাবু। মন্দিরে রয়েছেন দুজন পুরোহিত,একজন সহকারি।আর একজন ভোগ রান্না করেন। তবে দীপান্বিতা অমাবস্যায় রাতে পুজো হলেও অন্য অমাবস্যা বা পূর্নিমায় দিনেই পুজো হয়। বর্ষাকালে মন্দিরে ভিড় কম হলেও অন্যসময় দিনে গড়ে ৫০০ থেকে ৭০০ ভক্তের ভিড় হয়।এখানকার সেভকেশ্বরী মা খুব জাগ্রত বলেও ভক্তরা বিশ্বাস করেন। মনের বাসনা পূরন হলে দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা তাদের মানত পূরন করার জন্য এখানে আসেন। এবারে দীপাবলির আগে খবরের ঘন্টা সম্পাদকের লেখা শ্যামা সঙ্গীত রবিবার সেখানে দেবী বিগ্রহের সামনে পরিবেশন করেন পত্রিকার সহ সম্পাদিকা শিল্পী পালিত।