কেরালার বন্যাবিধ্বস্ত স্থানে পরিবেশ রক্ষার কাজে শিলিগুড়ির তরুন

নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃ এদিকে কোথাও গরু মরে পড়ে আছে,ওদিকে কোথাও শূকর মরে পড়ে আছে।সেসব মরা পশুপাখির দেহে পচন ধরেছে।চারদিকে দুর্গন্ধ। কেউ সেসব পরিস্কার করে পরিবেশ দ্রুত সুস্থ করবার দিতে নজর দিতে পারছে না।বিভিন্ন ত্রান শিবিরে স্বাস্থ্য শিবির বসেছে।কোথাও ওষুধ বিলি হচ্ছে, কোথাও আবার বিলি হচ্ছে খাদ্য। প্রশাসনের ব্যস্ততার শেষ নেই। নতুন করে রাস্তাঘাট নির্মান সহ আরও অনেক কাজ হচ্ছে। এরমধ্যে অনেকেরই মনে পড়ছে না মৃত পশুপাখির পচা গলা দেহগুলো সরানো দরকার। কারন পরিবেশ দূষিত হচ্ছে সেখানে। আর এই কাজেই কদিন ধরে কেরালাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে আনন্দমার্গের স্বেচ্ছাসেবীরা। শিলিগুড়ি থেকে স্বেচ্ছাসেবী অভিজিৎ দাসও সেই টিমে গিয়ে সামিল হয়েছেন। বুধবার কেরালার কিশোর জেলা থেকে শিলিগুড়ি ঘোঘোমালির বাসিন্দা অভিজিৎ দাস জানান, মঙ্গলবার তারা আনন্দমার্গের সদস্যরা মিলে একদিনে ৫৪ টি মরা শূয়োর পরিস্কার করেছেন। বুধবার তিনটি গরু সরানো হয়েছে। সব পচা গলা,দুর্গন্ধেে ভরা। খুঁজে খুঁজে বের করতে হচ্ছে। এইসব পচা গলা পশুপাখি বিভিন্ন স্থানে পড়ে আছে। চারদিকের পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসন তাদের সহযোগিতা করছে গাড়ি দিয়ে। সে এক অবর্ণনীয় ব্যাপার। প্রথমে সেসব মরা পচা প্রানী সরানোর আগে তারা সেখানে ব্লিচিং ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তাদের হাতে থাকছে গ্লাভস, মুখে মাস্ক।সঙ্গে থাকছে ফিনাইল। পড়ে নিতে হচ্ছে গাম বুট। জে সি বি দিচ্ছে প্রশাসন। কেরালা থেকে শিলিগুড়ির তরুন সমাজসেবী অভিজিৎ আরও বলছেন, শিলিগুড়ি থেকে তিনদিন আগে কেরালা পৌঁছেই কাজে নেমে পড়েছি। মানুষের সেবা করাই হল প্রকৃত ধর্ম।সেই মানসিকতা নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়েছি। অনেকেই অনেক রকম ত্রান কাজ চালাচ্ছেন। কিন্তু মৃত পশুপাখি সরিয়ে পরিবেশ দূষন ঠেকাতে কেউ কাজে নামছেন না দেখে আমরা এই কাজে নেমেছি।শিলিগুড়ি থেকে কিছু লোকের কাছ ত্রান পাওয়া গিয়েছিল সেসব বিলি করা হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত শিলিগুড়ি শহরে মেয়ে পাচার ও শিশু পাচারের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে কাজ করছেন অভিজিৎ। এন জে পি ও জংশন স্টেশন থেকে বহু শিশুকে পাচারকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন অভিজিৎ।