নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃ সঙ্গীত রয়েছে, যদি কাগজে লেখো নাম,কাগজ ছিঁড়ে যাবে।পাথরে লেখো নাম, পাথর ক্ষয়ে যাবে। রিদয়ে লেখো নাম সে নাম রয়ে যাবে। আসলে এই রিদয় বা হার্ট নিয়ে যত সমস্যা। হঠাৎ হার্ট ফেল।এই আছে লোকটা,এই নেই। শনিবার বিশ্ব হার্ট ডেতে তাই শিলিগুড়িতে অনেক অনুষ্ঠান হল।তারমধ্যে একটি হল, ওয়াকাথন।হাটো।প্যারামাউন্ট হাসপাতাল শহরে এই ওয়াকাথনের আয়োজন করে।এদিনের বার্তা হল,ফর মাই হার্ট, ফর ইওর হার্ট অ্যান্ড ফর অল আওয়ার হার্টস। হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ জয় সান্যাল পরে সাংবাদিকদের বলেন,হার্ট ভালো রাখতে হলে হাঁটতে হবে। বসে থাকা চলবে না। তার সঙ্গে স্বাস্থ্য সন্মত খাওয়াদাওয়া করতে হবে। সচেতন হতে হবে খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে। ধূমপান একদম চলবে না। অন্যান্য তামাকও বর্জন করতে হবে। তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। পরিবর্তন করতে হবে লাইফ স্টাইল। সময় বের করে দিনে এক ঘন্টা হাঁটতে হবে। খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন প্রতিদিন এক ঘন্টা করে হাঁটতে হবে। হাঁটার গতি হতে হবে ঘন্টায় দু থেকে তিন কিলোমিটার। তবে কারও হার্টের রোগ ধরা পড়লে হাটাহাটির বিষয়টি নিয়ে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সাধারণত সকালে হাঁটতে পারলেই ভালো। সকালে সময় না পেলে বিকালে হাঁটা যায়। এদিনের ওই সাংবাদিক বৈঠকে ডাঃ বিবেক সরকার,ডাঃ নৈতিক সিংলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।সেখানে উপস্থিত গ্যাসট্রোএনটামোলজিস্টও জানান,হাটাহাটি করলে শুধু হার্ট নয়,শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গও ভালো থাকে।যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদেরও হাটাহাটি করা অত্যন্ত জরুরি। আর সবসময় ভালো কাজের মাধ্যমে সবার রিদয়ে জায়গা করে নিতে হলে নিজের শরীর ঠিক রাখতে হবে। তাই হাটাহাটির জুড়ি নেই। আর শিলিগুড়ি যেভাবে যানজট ও গাড়ি নির্ভর শহর হয়ে উঠেছে সেখানে হাটাহাটির অভ্যেস অন্য অর্থেও এক নতুন পরিবেশ তৈরি করতে পারে।