করোনা দুর্যোগ, একটি মানবিক ভাবনার আবেদন

বাপি ঘোষ ঃ করোনার প্রথম ঢেউ আমাদের দেশে গতবছর ২০২০ সালের মার্চে কার্যত শুরু হয়েছিল। আর তখন করোনা ঠেকাতে লকডাউনও হয়েছিল। লকডাউনের জেরে গরিব সাধারণ মধ্যবিত্তদের অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে পড়ে। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে ব্যাপক রেশন সরবরাহের উদ্যোগ নেয়। সেই সঙ্কটে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রশংসনীয় কাজ করে। স্বেচ্ছাসেবীরা বিভিন্ন মানুষের হাতে খাদ্য হিসাবে ধারাবাহিকভাবে ত্রান পৌঁছে দেন। একেবারে গরিব মানুষেরা লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রান সংগ্রহ করেন। আর বহু মধ্যবিত্তের ঘরে খাদ্য সামগ্রী না থাকলেও তাঁরা লজ্জার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রান সংগ্রহ করতে যাননি। যাই হোক বহু স্বেচ্ছাসেবী গরিব অসহায় মানুষদের হাতে ত্রান পৌঁছে দেন।

এবার শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ঢেউ। এবারের পরিস্থিতি আরও ভয়ানক। কেননা আক্রান্ত সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। তার সঙ্গে মৃত্যু হারও বাড়ছে। দেশের কয়েকটি রাজ্যের সঙ্গে বাংলার অবস্থাও ভয়ানক। প্রতিদিন আমরা বেদনাদায়ক চিত্র দেখছি।এরমধ্যে বাংলায় শুরু হয়েছে আংশিক লকডাউন। করোনার প্রথম ঢেউয়ের ক্ষত এখনো যায়নি। কাজ খুইয়ে অর্থ সঙ্কটে বহু মানুষ দিশেহারা। করোনার ছোবলে শুধু অনেকের প্রান যায়নি, কাজ খুইয়ে অনেকেই দুঃখে রয়েছেন। এই অবস্থায় দ্বিতীয় ঢেউ যে আরও সঙ্কট এবং বিপদ বয়ে আনছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রথম ঢেউয়ে বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিদেশ থেকে অর্থ সাহায্য পেয়ে গরিব সাধারণ মানুষের মধ্যে ত্রান বিলি করেছেন। কিন্তু এবার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবীর সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি, তাদের কাছে বিদেশ থেকে আরও অর্থ সাহায্য আসতে পারে। সেসব সাহায্য পেলে তারা এই দুঃসময়ে প্রথম ঢেউয়ের মতোই ত্রান বিলির কাজে নামতে পারেন। কিন্তু এবার নিয়মের বেড়াজালে তাদের অনেক বিদেশি সাহায্য আটকে যাচ্ছে। ফলে ইচ্ছে থাকলেও তাঁরা আগের মতো সেভাবে কাজে নামতে পারছেন না। তাই তাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে জরুরি ভিত্তিতে মানবিক কারনে ভারত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।