
- নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ে রুপকথা। কিন্তু ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়লে হবে কি,বাংলা ভাষার প্রতি বেশ টান শিলিগুড়ি লেকটাউন নিবাসী এই কিশোরীর।রুপকথা নিয়মিত বাংলা ভাষায় লেখালেখি করে কবিতা, গল্প। আবার আবৃত্তি এবং বাংলা সঙ্গীতের চর্চাও নিয়মিত চালিয়ে যায়।একসময় কিশোর কিশোরীদের মধ্যে দারুণ রেখাপাত করতো বাঁটুল দি গ্রেট,নন্টে-ফন্টে, হাঁদা ভোদার মতো কার্টুন চরিত্রগুলো।রুপকথাও কিন্তু পুরনো ধারা বজায় রেখে নিয়মিত কার্টুন কমিকস পড়ে, বাংলার বিভিন্ন ছোটগল্পও পড়ে সে। ওর কথায়,ইংরেজি নিশ্চয়ই পড়তে হবে কিন্তু বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতিকে বাদ দিয়ে নয়। বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চা তাঁকে বাড়তি উদ্দীপনা এনে দেয় বল রুপকথা জানায়।আর হ্যা,ম্যাগি চাউমিন মোমোর মতো খাবারের প্রতি কোনো আসক্তি নেই এই প্রজন্মের এই ব্যতিক্রমী কিশোরীর।ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে নবম শ্রেণিতে এবার উত্তীর্ণ হলো রুপকথা। রসগোল্লার প্রতি ওর আকর্ষণ রয়েছে, ও খেতে ভালোবাসে ইলিশ মাছও।ধৈর্য ধরে ইলিশ মাছের কাটা বেছে ইলিশ মাছ খেতে হলেও তাতে কোনো আপত্তি নেই রুপকথার। ও বলে, ধৈর্য ধরে কাটা বেছে মাছ খাওয়ার মাধ্যমেও অনেক শিক্ষার বিষয় রয়েছে। যেমন এর মাধ্যমে ধৈর্য শক্তি বৃদ্ধি পায়। নববর্ষ বা পয়লা বৈশাখ এর আনন্দও ওর কাছে অন্যরকম। ও বলে,নববর্ষ বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতি। এই উৎসব সামিল না হলে পুরনো দিনের ঠাকুরদা ঠাকুরনা,দাদু দিদিমাদেরই পরোক্ষভাবে অপমান করা হয়।