সরস্বতী, বিশ্বকর্মা সহ কালীর বাজারও নষ্ট করে দিচ্ছে সিদ্ধিদাতা গণেশ!

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ সরস্বতী, বিশ্বকর্মা সহ কালীরও বাজার নষ্ট করে দিচ্ছে সিদ্ধিদাতা গণেশ। শিলিগুড়ির অটোমোবাইল বা গ্যারেজ শিল্পের কারনে একসময় বিশ্বকর্মার ভালো বাজার ছিলো উত্তর পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বারে।কিন্তু আজ সেই চাহিদা নেই দেবশিল্পীর।অথচ শ্রীগনেশের চাহিদা হু হু করে বাড়ছে।ফলে সরস্বতী এবং বিশ্বকর্মা পুজোর মূর্তিতে তাঁরা যতটা ক্ষতির শিকার তার অনেকটাই পূরন করে দিচ্ছে সিদ্ধিদাতা গণেশ। শিলিগুড়ি মৃৎশিল্প উন্নয়ন সমিতির সভাপতি অধীর পাল এমন খবরই দিচ্ছেন। যদিও এবার আবার মা দুর্গার চাহিদা বেড়েছে। বিগত দু’বছর করোনার জেরে শিলিগুড়ি কুমোরটুলিতে প্রতিমা শিল্প ব্যাপক ক্ষতির মধ্যে পড়ে। এবার সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা। অধীরবাবু জানালেন, দামওতো প্রচুর বেড়েছে। মাটি থেকে খড়,বাঁশ প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় দুর্গা প্রতিমার দামও বেড়েছে। যদিও অধীরবাবু আগের মতো প্রতিমা তৈরি করেন না। তবে এই মুহুর্তে শিলিগুড়ি কুমোরটুলির বড় সমস্যা হলো যাতায়াত সমসা। শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় কুমোরটুলি মহানন্দা নদীর কাছেই অবস্থিত। পাহাড় সহ সমগ্র পূর্ব ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা যায় শিলিগুড়ি থেকে। প্রচুর টাকার লেনদেন হয় এখানে। বহু শ্রমিকের কর্মসংস্থানও হয় এখানে। অথচ এখানকার মৃৎ শিল্পীদের হাতে তৈরি দুর্গা প্রতিমা বাইরে নিয়ে যাওয়ার মতো পরিকাঠামো নেই। মহানন্দার বিসর্জন ঘাট দিয়ে প্রতিমা পরিবহনের গাড়ি সেভাবে যাতায়াতই করতে পারে না। ফলে চরম সঙ্কটে মৃৎশিল্পীদের ভবিষ্যৎ। এই বিষয়ে তাঁরা শিলিগুড়ির মেয়র থেকে থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।