
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলো আকাশ দে। সোমবার তাঁকে মেডিক্যাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। আকাশ আপাতত রয়েছে শিলিগুড়ি উত্তর সুকান্ত নগরে তাঁর মামার বাড়িতে। বাবা মা নেই আকাশের। পুজোর মুখে সুস্থ হয়ে মেডিক্যাল থেকে ছুটি মেলায় বেশ খুশি আকাশ। ও এবার আনন্দের সঙ্গে পুজো দেখতে চায়।
এর আগে দু-দুবার অপারেশন হয়েছে আকাশের।ওর শেষ যে সমস্যা ছিলো, মল নিষ্কাশন হচ্ছিল পেট দিয়ে। পেট দিয়ে মল নিস্কাশন হওয়ার জেরে ভয় পেয়ে শক্ত খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল আকাশ। তরল খাবার গ্রহণ করছিলো নিয়মিত। স্থানীয় সমাজসেবী ও ব্যবসায়ী টোটোন সাহা আকাশকে নিয়মিত দুধের প্যাকেট সরবরাহ করছিলেন বিনামূল্যে। কিন্তু চিকিৎসা না হওয়াতে মৃত্যু মুখে চলে গিয়েছিল আকাশ।টোটোন সাহা বিষয়টি খবরের ঘন্টার নজরে আনেন।খবরের ঘন্টায় আকাশের কাতর আবেদন সম্প্রচার করা হয়। শেষে এগিয়ে আসেন মানবিক গুন সম্পন্ন বিভিন্ন মানুষ। অসহায় অনাথ এক কিশোরকে মৃত্যু মুখ থেকে ফেরানোর জন্য অনেকেই ইতিবাচক ভাবনার পরিচয় দেন।তাদের মধ্যে বিশিষ্ট সমাজসেবী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির বাসন্তি ব্যানার্জি, আমরা বেকার সংগঠনের সজল দত্ত, সুমিতা কুন্ডু সহ আরও অনেকে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বিভিন্ন ডাক্তার, নার্স,স্বাস্থ্য কর্মী সবাই মানবিক মুখ নিয়ে এগিয়ে আসেন আকাশের জন্য। মনুষ্যত্ব, মানবিকতা যে মরে যায়নি তা আবারও প্রমান করলেন বহু মানুষ। আর ইতিবাচক ভাবনাকে সমাজের বুকে জোরদারভাবে ছড়িয়ে দিতে খবরের ঘন্টা আগেও যেমন এধরনের খবর সম্প্রচার করেছে , ভবিষ্যতেও করবে।এরজন্য আপনাদের সকলের সমর্থন প্রয়োজন।
