ক্ষুদ্র চা চাষীদের সার্বিক উন্নয়নের ব্যাপক প্রয়াস শিলিগুড়ি মহকুমার খড়িবাড়িতে

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃতাদের কেও আগে ধান বা আলু চাষ করতেন।এখন সেসব ছেড়ে তাঁরা চা চাষে মন দিয়েছেন। শিলিগুড়ি মহকুমার খড়িবাড়ির বুড়াগঞ্জ ও তার আশপাশে ক্ষুদ্র চা চাষীদের সার্বিক উন্নয়নের প্রয়াস শুরু হয়েছে। গ্রামের চাষীরা চা চাষের মাধ্যমে যাতে তাদের রোজগার আরও বাড়িয়ে উন্নত জীবনধারণ করতে পারেন তারজন্য তৈরি হয়েছে তরাই টি ফার্মার প্রডিউসার কোম্পানি লিমিটেড। ভারতীয় চা পর্ষদের তত্ত্বাবধানে তরাই অঞ্চলের ক্ষুদ্র চা চাষীদের উন্নয়নে এই প্রথম এক প্রয়াস শুরু হয়েছে। ২০২২ সালের ১৯ জুলাই কার্যত সরকারিভাবে এই কোম্পানির অনুমোদন হয়।তিনশ ক্ষুদ্র চা চাষী এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।
শনিবার ২৭ আগস্ট খড়িবাড়ির শিলিগুড়ি তরাই বি এড কলেজে ওই কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শিলিগুড়িস্থিত চা পর্ষদের উপ অধিকর্তা সুবীর হাজরা,শিলিগুড়িস্থিত চা পর্ষদের উন্নয়ন অধিকর্তা তন্ময় দে,শঙ্কর দাস ভট্টাচার্য, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ লং লার্নিং অ্যান্ড এক্সটেনশন বিভাগের অধ্যাপক শুভ্রাংশু সাঁতরা ছাড়াও বুড়াগঞ্জের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান চম্পক রায়চৌধুরী, খড়িবাড়ির গ্রাম প্রধান সুকি তির্কী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া ওই টি ফার্মার প্রডিউসার কোম্পানির ডিরেক্টর পুস্পজিৎ সরকার, কার্তিক বর্মন, রাহুল চক্রবর্তী, শ্যামল শীল,দিলীপ সিংহ,ফার্স্ট শেয়ার হোল্ডার বাবলু বর্মন, সরকার, জন্মজয় রায়,রাকেশ সিংহ,চম্পক রায়চৌধুরী এবং এলাকার বিভিন্ন ক্ষুদ্র চা চাষী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ভারতীয় চা পর্ষদের তরফে ক্ষুদ্র চা চাষীদের সার্বিক উন্নয়নের ওই প্রয়াসকে প্রশংসা করা হয়। চা পর্ষদ থেকে এই কাজে বিভিন্ন সহযোগিতার কথাও জানানো হয়। শিক্ষক তথা সমাজসেবী পুস্পজিৎ সরকার প্রথম ক্ষুদ্র চা চাষীদের উন্নয়নে প্রত্যন্ত এলাকায় ঘুরে ঘুরে এই কোম্পানি খোলার জন্য উদ্যোগ নেন। তাঁর সেই উদ্যোগ এলাকায় এক বিরল ঘটনা হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। এলাকায় জাগৃজোত এবং ভোটাগছে শুধুমাত্র চা এর ওপর ভিত্তি করে স্মার্ট ভিলেজও তৈরি হচ্ছে। ডিরেক্টর পুস্পজিৎ সরকার জানিয়েছেন, এরপর তাঁরা তাদের কোম্পানির প্রসেসিং ইউনিট খোলার প্রক্রিয়া শুরু করবেন।কাঁচা চা পাতা সংগ্রহ করে তা প্রসেসিং এর পর বিপণন করা হবে যাতে ক্ষুদ্র চা চাষীরা আরও দাম পান চা এর।