
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ ছোটবেলায় লুকিয়ে চুরিয়ে তিনি প্রতিমা তৈরির কাজ শিখেছিলেন। পরবতীতে আরও কিছু শিল্পীর সংস্পর্শে এসে ভাস্কর্যের কিছু কাজ শেখেন। আর নিষ্ঠা,পরিশ্রমের ফল আজ তিনি পাচ্ছেন পাহাড়ের বিভিন্ন প্রান্তে বৌদ্ধ মূর্তি নির্মানের জন্য তাঁর কাছে বায়না আসছে। শিলিগুড়ি কুমোরটুলিতে বসেই উত্তরবঙ্গের প্রবীন মৃৎ শিল্পী অধীর পাল জানাচ্ছিলেন, একসময় প্রচুর দুর্গা প্রতিমা তিনি তৈরি করেছেন। কিন্তু কোনো যথাযথ মর্যাদা পাননি।নিজের প্রতিভা উজাড় করে দিয়েছেন একেকটি প্রতিমা নির্মানের পিছনে। দর্শকরা খুশি হয়েছেন তাঁর অসামান্য শিল্প কর্মে। কিন্তু বহু পুজোর আয়োজক তাঁর সঠিক কদর করেনি,প্রতিমা নির্মানের যোগ্য পারিশ্রমিক পাননি।অনেক সময় পারিশ্রমিক চাইতে গিয়ে কোনো কোনো পুজো আয়োজকের কাছ থেকে দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন।শেষে মনের দুঃখে অভিমান থেকেই দুর্গা প্রতিমা নির্মান থেকে একপ্রকার নিজেকে সরিয়ে নেন।মন দেন বিভিন্ন রকম বৌদ্ধ প্রতিমা নির্মানে।আর যথাযথ মর্যাদাও পান। ফলে হাতে গোনা দুএকটি দুর্গা প্রতিমা তিনি নির্মাণ করলেও বেশিরভাগ সময়ই তিনি ব্যয় করেন বৌদ্ধ মূর্তি নির্মানে।
