চিনা টুনি বাল্বকে টেক্কা দিয়ে মাটির প্রদীপের ব্যবহার বাড়াতে অসাধারণ উদ্যোগ পঞ্চম শ্রেনীর পড়ুয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃআলোর উৎসবে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির প্রদীপ। চীনের বাজারে তৈরি হওয়া টুনি বাল্ব জায়গা করে নিচ্ছে।
কিন্তু একটা সময় বাংলার ঘরে ঘরে দীপাবলি উৎসব মাটির প্রদীপ দিয়ে সাজানো হতো। চীনা দ্রব্য ব্যবহার করা বন্ধের পক্ষে অনেকেই সওয়াল করেন। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন তেমন ভাবে দেখা যায় না। এই দিকে দিনের পর দিন মাটির প্রদীপ বিক্রির হার কমে যাওয়াই আর আগের মত আনন্দ উজ্জ্বল হয় না মৃৎ-শিল্পীদের দীপাবলি। সেই মৃৎ-শিল্পীদের মুখেই হাসি ফোটানোর জন্য এক অসাধারণ উদ্যোগ পঞ্চম শ্রেণীর খুদে পড়ুয়ার। এত কম বয়সে তার এই ধরনের চিন্তা ভাবনা বিভিন্ন মহলে আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের পিপলা গ্রামের ছেলে অংশুমান চক্রবর্তী। মালদা শহরের সিস্টার নিবেদিতা স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সে। শিল্পকলার মাধ্যমে সে মাটির প্রদীপকে আকর্ষণীয় করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে । ছোট থেকেই আর্ট এন্ড ক্রাফট এবং অঙ্কনে তার হাত বেশ ভালো। এলাকার মৃৎ-শিল্পীদের কাছ থেকে মাটির প্রদীপ কিনে এনে সেগুলিকে রং করে অংশুমান। তার উপর নিপুন দক্ষতার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে বিভিন্ন নকশা। স্বাভাবিক ভাবেই এই ধরনের প্রদীপ নজর কাড়ছে মানুষের। অংশুমানের কথায় দীপাবলিতে সকলের বাড়ি আলোতে ভরে ওঠে। কিন্তু আলোর প্রদীপ যারা তৈরি করছে তাদেরই আর্থিক অবস্থা খারাপ । তাদের বাড়িও যাতে দারিদ্রতার অন্ধকার কাটিয়ে আলোক উজ্জ্বল হয়ে ওঠে তাই তার এই চিন্তা ভাবনা। তার মতে সকলের উচিত চিনের তৈরি আলোর জিনিস ব্যবহার করা ছেড়ে দেশের মৃৎ-শিল্পীদের তৈরি প্রদীপ দিয়ে বাড়ি সাজানো । এখন থেকেই দেশ ও সমাজের জন্য কাজ করতে চায় অংশুমান। ভবিষ্যতে ইচ্ছে ভারতীয় সেনা বাহিনীতে যোগ দেওয়ার । তার এই কাজে তাকে অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছেন তার মা হেমলতা চক্রবর্তী।