
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ সেখানে কুকুরদের সামাজিকতা শেখানো হচ্ছে। এর মানে? হ্যাঁ,এর মানে বাড়ির পোষা কুকুরটা যাতে ঘরে আসা অতিথিকে হঠাৎ কামড়ে না দেয় তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
সেখানে কুকুরেরা নিয়মিত ব্যায়াম করে,তাদের হাঁটাহাটির জন্য পুরো বন্দোবস্ত রয়েছে। এর মানে? অবাক হচ্ছেন, কুকুরেরা আবার ব্যায়াম করে?!! হ্যা, ঠিক তাই হচ্ছে।
সেখানে কুকুরদের নিয়ম শৃঙ্খলা শেখানো হচ্ছে। সিট বললে ওরা বসে পড়ছে,স্ট্যান্ড বললে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। স্লিপ বলে ঘুমিয়ে পড়ছে।
কি অবাক কান্ড,তাই না? অবাক হওয়ারই মতো ঘটনা।আসলে শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া মাটিগাড়ার পাথরঘাটাস্থিত প্রত্যন্ত গ্রাম রয়েছে। গ্রামের নাম নেহালুজোত। সেখানেই রয়েছে সেই ডগ ক্যানাল।সেখানেই বেশ কিছু কুকুরকে নিয়মিত ক্লাস নেন কুনসাং ছোপেল।
কুনসাংয়ের বাড়ি নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে।ছোট থেকেই তিনি কুকুর ভালোবাসেন।সেই ভালোবাসা বড় হয়েও ছাড়তে পারেননি।তাই সেই নেশা আজ পেশায় পরিনত হয়েছে৷ ডুয়ার্সের জয়গা লাগোয়া দলসিংপাড়ায় বহুদিন ধরে বিভিন্ন প্রজাতির কুকুর নিয়ে তারা নেশা পেশা চালিয়ে আসছিলেন কুনসাং।কিন্তু করোনা লকডাউনের সময় এই পেশা ধাক্কা খায়।কিছু কুকুর মারাও যায়। শেষে দলসিংপাড়া ছেড়ে চলে আসেন শিলিগুড়ি পাথরঘাটায়।সেখানেই এখন জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, তিব্বতী সহ বিভিন্ন প্রজাতির নানা কুকুরের মধ্যে তিনি সম্প্রীতির মেলবন্ধন তৈরি করছেন।বিভিন্ন প্রজাতির কুকুর একসঙ্গে নিয়ম মেনেই থাকছে,একসঙ্গেই তাঁরা ব্যায়াম করছে একসঙ্গেই ক্লাস করছে। আর এই ব্যতিক্রমী পরিবেশের মাধ্যমে এক নজির তৈরি করেছেন কুনসাং।কুকুরগুলো ছানা প্রসব করলে সেগুলোকে আবার ক্লাস নিয়ে নিয়ম শৃঙ্খলা শিখিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিক্রি করবেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখন সেসব কুকুরদের শৃঙ্খলা শেখানোই কুনসাংয়ের এখন বড় নেশা।
