
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ পৌষমাসের পূর্ণিমা তিথিতে শিলিগুড়ি সংলগ্ন বৈকুন্ঠপুর এর গভীর জঙ্গলে বনদূর্গার পুজো হয়। ৬ জানুয়ারি সেই পুজো হবে। প্রকৃতপক্ষে
ব্রিটিশ আমলে এই পুজোর প্রচলন হয়।ব্রিটিশের সময় থেকে এখনও প্রতিবছর পুজো হয়ে আসছে। বহু ভক্তের সমাগম হয় এই পুজোয়।জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং,কোচবিহার এমনকি পার্শ্ববর্তী রাজ্য সিকিম, অসম এবং পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশ থেকেও প্রচুর মানুষের সমাগম হয়।

বৈকুন্ঠপুর জঙ্গলের গভীরে যেখানে বনদূর্গার মন্দির স্থাপিত সেই জায়গাকে দিল্লি ভিটা, চাঁদের খাল বলা হয়।এই নাম যদিও অনেকেরই অজানা।কথিত আছে, দেবী চৌধুরানী নৌকা করে করতোয়া নদী পার হয়ে বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলে আসতেন।ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর গোপন আস্তানা ছিল এই জায়গা।ব্রিটিশ আমলে পুজোর সূচনা করেছিলেন দেবী চৌধুরানী ও ভবানী পাঠক।সেই থেকে এখনও প্রতিবছর এই পুজো হয়েছে আসছে।সেইসময় ঠুনঠুনি মা বলে পুজিত হতেন দেবী।তবে বর্তমানে বনদূর্গার পুজো বলেই পরিচিত।