
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ সিম্পল লিভিং, হাই থিঙ্কিং এই ভাবনা নিয়ে এগিয়ে চলার পথে রীতিমতো বিরল নজির সৃষ্টি করছেন শিলিগুড়ি ফুলবাড়ি নিবাসী এক শিক্ষক। ফুলবাড়িতে তাঁর বাড়ি হলেও তাঁর ব্যতিক্রমী সব কর্মকান্ড চলছে শিলিগুড়ি মহকুমার খড়িবাড়ি থানার বুড়াগঞ্জ লাগোয়া দুধাজোতে।সেখানে শিলিগুড়ি তরাই এডুকেশনাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সম্পাদক তিনি। নাম পুস্পজিৎ সরকার। সেই এডুকেশনাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পরিচালনাতেই শান্তিনিকেতনের ধাঁচে শুরু হয়েছে তরাই ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনের ধাঁচকে অনুসরন করে সেই স্কুলে অনাথ শিশুদের পড়াশোনা করানো হচ্ছে। যেসব শিশুর কেও নেই, যাঁরা অসহায়, অনাথ তারা কি পড়াশোনা শিখবে না? এই ভাবনা থেকে পুস্পজিৎবাবুর মহৎ ভাবনায় অনাথ শিশুদের সেখানে শুধু পড়াশোনা নয়, থাকা খাওয়ারও বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পুরোপুরি বাংলা মাধ্যমের একটি স্কুল। নিয়মশৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে স্কুলটি চলে।আর অনাথ শিশুদের পড়াশোনা বা খাওয়াদাওয়ার দায়িত্ব নিতেও এগিয়ে আসছেন অনেক মানবিক গুনসম্পন্ন মানুষ। আগামী একুশে ফেব্রুয়ারি সেখানে মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হবে।অনাথ শিশুদের বেশি বেশি করে বোঝানো হবে মাতৃভাষা বাংলার তাৎপর্য। পুস্পজিৎবাবুদের এই অসাধারণ প্রয়াস বিভিন্ন মহলে দাগ কাটতে শুরু করেছে। পুস্পজিৎবাবু বলেন, কোনো শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানবিক গুনসম্পন্ন মানুষ অনাথ শিশুদের পড়াশোনা বাদে খাওয়া দাওয়া, পোশাক, টিফিন প্রদান প্রভৃতি বিভিন্ন রকম দায়িত্ব নিতে পারেন। যে শিশু চা দোকানে কাজ করে নিজের ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে চলেছিল,যে শিশু রাস্তায় নোংরা জঞ্জাল কুড়িয়ে এক অন্ধকার ভবিষ্যতের পথে এগোচ্ছিল সেই শিশু এখন রবীন্দ্র আলোকের ভাবে পড়াশোনা শিখে জীবনে একজন সুনাগরিক হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।আর এইসব অসহায় অনাথদের ভবিষ্যতের সুনাগরিক করার এক মহান ব্রত নিয়ে পুস্পজিৎবাবুদের তীব্র লড়াই চলছে।এই লড়াইয়ের মহৎ ভাবনায় আপনিও সামিল হতে পারেন,এগিয়ে আসতে পারেন কোনো অনাথ শিশুর কিছু দায়িত্ব নিয়ে, যোগাযোগ নম্বর 87591008766 / ৮৭৫৯১০০৮৭৬
