চা বাগানের মেয়ে পাচার রুখতে দিনের পর দিন অসামান্য ব্যতিক্রমী কাজে এই যুবতী

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ  ডুয়ার্সের নিউ হাসিমারা নিবাসী শুক্লা দেবনাথ আর্থিক দিক থেকে অনগ্রসর। কিন্তু নিজের অনগ্রসরতা বা কষ্ট উপেক্ষা করে শুক্লা চা বাগানের অসহায় অনগ্রসর মেয়েদের স্বনির্ভর করার কাজ করে চলেছেন দিনের পর দিন। চা বাগানের মেয়েরা স্বনির্ভর হলে পাচারকারীরা কাজের টোপ দিয়ে তাদের পাচার করতে পারবে না,এই ভাবনা থেকে দিনের পর দিন শুক্লার অক্লান্ত পরিশ্রম প্রত্যন্ত চা বাগানের আদিবাসী এলাকায় শুক্লাকে অন্যরকম এক ব্যতিক্রমী নারী হিসাবে চিহ্নিত করেছে। শুক্লা বলেন,”আমার এলাকায় ৮৩টি চা বাগান রয়েছে। বাগানগুলের বেশিরভাগ পরিবার দরিদ্র এবং শিক্ষায় একেবারে অনগ্রসর । এই পরিবারগুলি তাদের ছেলেমেয়েদের দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের মতো শহরে কাজ করার জন্য পাঠায় যাতে তারা আরও ভাল উপার্জন করতে পারে। কিন্তু তাদের অধিকাংশই যৌন পাচারের শিকার হয়।” তাই শুক্লাদেবী তার আয়ের একটি অংশ এলাকার নারী ও মেয়েদের বিউটিশিয়ান প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ব্যয় করছেন৷

৩৫ বছর বয়সী শুক্লাদেবী শিক্ষায় স্নাতকোত্তর এবং একজন প্রশিক্ষিত বিউটিশিয়ান। চা বাগান ঘেরা নিউ হাসিমারায় একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম তাঁর। বছরের পর বছর ধরে শুক্লাদেবী হাজারেরও বেশি মেয়েকে বিউটিশিয়ান হিসেবে প্রশিক্ষণ দিয়েছন, যারা এখন ভালো আয় করতে পারেন। স্বনির্ভর হওয়া মেয়েদের ধারেকাছেও এখন ঘেঁষতে পারে না পাচারকারীরা।

বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —–