
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ নিজের মনে অদম্য ইচ্ছা শক্তি এবং চেষ্টা থাকলে মানুষ তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে। কোচবিহারে জেলার মেখলিগঞ্জের রানিরহাট গ্রামের মেধাবী ছাত্র মানস রায় অন্তত করে দেখালেন।চার দিন আগে কলকাতা মেডিকেল কলেজে এম বি বি এসের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বেশ ভালোভাবেই পাশ করেছেন মানস।এখন তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেই ইন্টার্নশিপ করছেন।
মানসের বাবা দরিদ্র চাষী।ছেলেবেলায় মানসের এক দিদি কঠিন অসুখে মারা যায়।সেই সময় তাঁর দিদি মৃত্যুর আগে মানসের কাছ থেকে কথা আদায় করে নেয়, ” কথা দে তুই বড়ো হয়ে ডাক্তার হবি আর মানুষের সেবা করবি।” চোখের জল মুছতে মুছতে দিদিকে হারানোর সময় মানস কথা দিয়েছিল, ” হ্যা,আমি ডাক্তার হবো।” কিন্তু কথা দেওয়া আর তা বাস্তবে করে দেখানো দুটো এক জিনিস নয়। ডাক্তার হওয়া, তাও আবার এক দরিদ্র পরিবার থেকে,সহজ কাজ নয়।কিন্তু মনের মধ্যে জেদ চেপে বসে মানসের। চলার পথে সামনে আসা কষ্টগুলোকে একদিকে লাথি মারা আরেকদিকে বুকের হৃদয়ে বইকে আঁকড়ে ধরার কঠিন যুদ্ধ শুরু হয় তাঁর। ২০১৫ সালে মাধ্যমিকে ৯৪ শতাংশের বেশি নম্বর ওঠে, আর ২০১৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর ওঠে। তারপর ডাক্তারি নিয়ে পড়ার চেষ্টা। কলকাতা মেডিকেল কলেজে তা পড়ার সুযোগ আসে। কিন্তু মেডিকেল কলেজে পড়ার জন্য যে ভর্তি হবেন,টাকা কোথায়? এ প্রশ্নে মানস মাথার চুল ছিঁড়তে থাকলেও ইচ্ছে থাকলে উপায়ও বেরিয়ে যায়। সমাজে বহু ভালো মানুষ এবং সংস্থা আছে যাঁরা এ ধরনের প্রতিভা বা মেধাবীদের উৎসাহিত করে নিঃশব্দে। এমনই একটি সংস্থা জামালদহের পঞ্চপান্ডব।সেই সংস্থা থেকে মানসকে কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তির ফী সহ অন্যান্য খরচ দেওয়া হয়। দাঁতে দাঁত চেপে মানস ডাক্তারির পড়াশোনা চালিয়ে যায়।শেষমেষ এম বি বি এস পাশ।এখন ইন্টার্নশিপ শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে গ্রামের অসহায় গরিবদের চিকিৎসার জন্য বেশি সময় ব্যয় করতে চান ডাক্তার মানস।

বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন–