
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ পড়াশোনা, খেলাধুলা, গানবাজনা, নৃত্য, অঙ্কন সবেতেই তাঁরা স্কুল জীবনে কার্যত শিলিগুড়ির সব স্কুলকেই টেক্কা দিতেন। পুরানো সেদিনের কথা কি আর ভোলা যায়।তাই স্কুলের গন্ডি পার হলেও থেমেতো থাকা যাবে না। কেও সংসার ধর্ম করছেন,কেও চাকরি করছেন– তা সেসব হতেই পারে। কিন্তু এ যে শিলিগুড়ি গার্লসের প্রাক্তনী বলে কথা।আমরা প্রাক্তনী।পুরানো সেদিনের সেই স্কুলের ঐতিহ্য যে ধরে রাখতে হবে। তাই শিলিগুড়ি গার্লসের আমরা প্রাক্তনীরা কখনো রক্ত দান শিবির, কখনো দুঃস্থ অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করা সব সামাজিক মানবিক কাজেই নজির তৈরি করছেন।বছরে একবার তাঁরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেন যেটা শুক্রবার শিলিগুড়ি কলেজ হলে সম্পন্ন হলো। খবরের ঘন্টার সংবাদ পাঠিকা সোমা দাস সেই অনুষ্ঠানে কবিতা আলেখ্য পাঠ করেন।

এদিন বিকালে বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণসহ গার্লসের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা ও প্রাক্তনীদের দীপ প্রজ্জ্বলনের সময় মাতৃছায়ার উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশিত হয় । সেই সময় ইউনিক ওয়েলফেয়ার পরিচালিত *দু টাকার পাঠশালার* শিশুদের নৃত্যও পরিবেশিত হয়। প্রাক্তনী মুখপাত্র সুপর্ণা দত্তের বক্তব্যের পর *মীনাক্ষী সরকার মেলে ধরেন তাঁর বক্তব্য। এরপর প্রাক্তনী শিল্পীগোষ্ঠীর সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। তাতে অংশ নেন দেবযানী মিত্র, সুমিতা সাহা, শ্রীণিকা ব্যানার্জী, হেমশ্রী পাল ও লোপিতা ভট্টাচার্য । এই অনুষ্ঠানের পর গার্লসেরই প্রাক্তনী খেলার জগতের কৃতী ছাত্রী সোমা দত্তকে স্মারক প্রদান করা হয়। এছাড়া শিলিগুড়ি সূর্যনগর সমাজ কল্যাণ সংস্থা, মাতৃচ্ছায়া সেবা সংস্থা, শিলিগুড়ি ইউনিক সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকেও* স্মারক-সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। প্রাক্তনীদের মধ্যে নির্বাচিত শিক্ষার্থী যেমন শ্রেয়া সরকার, রিয়া পাল,শালিনী শর্মা ও কুন্তল সরকারকে উৎসাহ প্রদান করা হয়। শ্রুতি নাটক পরিবেশিত হয় ১৫ মিনিট তাতে অংশ নেন মমি জোয়ারদার ও পুষ্পিতা কুন্ডু দত্ত।একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন অনামিকা দত্ত,চন্দনা চক্রবর্তী। সবমিলিয়ে নাচেগানে শিলিগুড়ি কলেজ হলে আমরা প্রাক্তনীর ওই অনুষ্ঠান বেশ জমজমাট হয়ে ওঠে। আর পুরানো সে দিনেতো সেলফি কি জিনিস, তা কেও জানতোই না।এখন পুরনো দিনের প্রাক্তনীরা একসঙ্গে মিলিত হলে সেলফি হবে না, তাই কখনো হয়? ফলে সব অনুষ্ঠানের সঙ্গে স্মৃতি ধরে রাখার সেলফি বাড়তি মাত্রা যোগ করে।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—