
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ হলো ভারত।জনসংখ্যা হু হু করে বাড়লেও জমির পরিমাণ বাড়েনি।ফলে একসঙ্গে বা এক ছাতার তলায় যত বেশি সংখ্যক মানুষ বসবাস করতে পারেন তার চিন্তা থেকে এসেছে আবাসন প্রকল্পের ভাবনা।বিভিন্ন আবাসন এবং ফ্ল্যাট এখন প্রায় সব শহরেই তৈরি হচ্ছে। আর উত্তরপূর্ব ভারতের গেটওয়ে শহর শিলিগুড়ি এখন নির্মান বা আবাসন শিল্পে গোটা দেশে একটি উল্লেখযোগ্য নাম। বহু মানুষ ফ্ল্যাট কিনছেন বা নিজে বাড়ি তৈরি করছেন কিন্তু তাদের এ বিষয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। তাই নির্মান শিল্প সম্পর্কে সামগ্রিকভাবে এক সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে শিলিগুড়ি সেভক রোডে সিটি প্লাজার বিপরীতে ইক্যুইটি স মিল চত্বরে গত ১১ মে শুরু হয়েছে প্রপার্টি এন্ড বিল্ডিং ম্যাটেরিয়াকস এক্সিবিশন। শিলিগুড়ি ইঞ্জিনীয়ার্স এন্ড আর্কিটেক্টস এসোসিয়েশন এই বিরাট প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। দুপুর বারোটা থেকে রাত প্রায় নটা পর্যন্ত এই প্রদর্শনী সর্বসাধারণের জন্য খোলা থাকছে।প্রদর্শনীতে প্রবেশ করার জন্য কোনো প্রবেশমূল্য নেই। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের অনেক কোম্পানি সেখানে স্টল দিয়েছে। মোট স্টল রয়েছে প্রায় আশিটি।প্রদর্শনী চত্বরে দুপর্বে আলোচনা সভাও হচ্ছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা ছাড়াও মুম্বাই, গুজরাট, আহমেদাবাদ থেকেও অনেক অধ্যাপক আলোচনা সভায় যোগ দিতে আসছেন। উদ্যোক্তাদের তরফে বিশিষ্ট ইঞ্জিনীয়ার বিনায়ক বোস এবং ভাস্কর বিশ্বাস জানিয়েছেন, সবুজায়নের কথা মাথায় রেখে আধুনিক গ্রীন বিল্ডিং কিভাবে তৈরি হতে পারে,প্রকৃতি যেভাবে গরম হচ্ছে সেদিকে তাকিয়ে একটি বিল্ডিং বা আবাসন কিভাবে শীতল থাকতে পারে তার বিভিন্ন দিকও আলোচনা হচ্ছে এই প্রদর্শনীতে।বিভিন্ন কোম্পানিও এ বিষয়ে আলোকপাত করছে।তাছাড়া ভূমিকম্পের কথা মাথায় রেখে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে কিভাবে নির্মান করলে সুবিধা হয় তা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে সেখানে। সবমিলিয়ে বলা যায় এত বড় আকারে এবং এই ধাঁচে এধরনের প্রদর্শনী উত্তরবঙ্গে এই প্রথম। এখন ভূমিকম্প ও ধস প্রবন পাহাড়ে অনবরত নির্মান হচ্ছে, সেক্ষেত্রে কি ধরনের উপকরণ ব্যবহার করে পাহাড়ের নির্মান হতে পারে তা নিয়েও আলোকপাত হচ্ছে সেই প্রদর্শনী ও সেমিনারে। শিলিগুড়ি ও তার আশপাশের বিভিন্ন প্রমোটার এবং নির্মান শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বহু ব্যক্তি প্রদর্শনীতে যোগ দিচ্ছেন। শিলিগুড়িতে যেহেতু আবাসন শিল্প বিরাট এক শিল্প, প্রতিদিন যেখানে এই শহরে এই শিল্পের পিছনে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে সেদিক থেকেও বিরাট তাৎপর্য বহন করছে এই প্রদর্শনী। বিনায়কবাবু এবং ভাস্করবাবুরা চাইছেন,১৪ মে পর্যন্ত যেহেতু এই প্রদর্শনী এবং সেমিনার চলবে তাই শিলিগুড়ি ও তার আশপাশের মানুষেরা বেশি বেশি করে অংশ নিক প্রদর্শনীতে।

বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—-