মালদার এই গ্রামে সবাই আমসত্ত্ব তৈরির নেশায় মগ্ন থাকেন

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ  আমের কথা বললেই মালদার নাম চলে আসে। মালদার আমসত্ত্বও কিন্তু বেশ বিখ্যাত। এবারতো বিদেশে বেশ চাহিদা মালদার আমসত্ত্বের।
মালদায় এমন গ্রাম আছে যেখানে সবাই আমসত্ত্ব তৈরির নেশায় মগ্ন থাকেন আমসত্ত্ব তৈরি করেই চলে তাদের সংসার। কিন্তু কিভাবে তৈরি হয় আমসত্ত্ব, কি বলছেন সেই গ্রামের বাসিন্দারা তা একটু দেখা যেতে পারে।
এবারতো বিদেশের বাজারে মালদায় তৈরি আমসত্ত্ব রপ্তানি করা হচ্ছে । প্রায় ২০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে সেই আমসত্ত্ব । এবারে আমসত্ত্বের বাজার আরও ভালো ভাবে ধরার জন্য রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় মালদা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মালদা ম্যাংগো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহাও এ বিষয়ে কিছু তথ্য মেলে ধরেছেন।
মালদার ইংলিশবাজার ব্লকের কোতুয়ালি অঞ্চলের কল্যাণপুর গ্রামে ৬০ থেকে ৭০ টি পরিবার বসবাস করে । এইসব পরিবারের সকলেই আমসত্ত্ব পেশার সঙ্গে যুক্ত। গোপালভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া মূলত এই তিনটি প্রজাতির আম দিয়ে তৈরি আমসত্ত্বের স্বাদে অতুলনীয়। পড়ে যাওয়া পাকা আম অথবা পাকা আম গাছ থেকে পেড়ে বোটা ছাড়িয়ে প্রায় আধঘন্টা জলে ভিজিয়ে রাখতে হয়। তারপর আমের খোসা ছাড়িয়ে আবার আমগুলিকে প্রায় ১৫ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখার পর থেঁতো করা হয়। তারপর সেই আমের পেস্টে একের পর এক প্রলেপ দিয়ে রোদে শুকাতে হয়। এইভাবে সাত দিন রোদে শুকানোর পর কাটিং করে তৈরি হওয়া আমসত্ত্ব বাজারে বিক্রি করা হয়।
চলতি বছরে ভিন রাজ্যতে বটেই বিদেশের বাজারেও জগৎ বিখ্যাত বিভিন্ন প্রজাতির আম দিয়ে তৈরি আমসত্ত্বের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই ভিন রাজ্যের পাশাপাশি বিদেশেও আমসত্ত্ব রপ্তানি শুরু হয়েছে । এই বিষয়ে মালদা ম্যাঙ্গো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা বলেন, ইতিমধ্যে আমসত্ত্ব বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। তার পাশাপাশি সরকারিভাবে আমসত্ত্ব তৈরির একটা উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় মালদা জেলা প্রশাসনও আমসত্ত্ব তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর ফলে মালদা জেলার আম চাষি এবং আম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যারা এই পেশার সাথে যুক্ত তারাও লাভবান হবেন।

বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্ক ক্লিক করুন —–