
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ সমাজের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে এই প্রতিভাবান শিল্পী বাউল সঙ্গীত রচনা করেন।আবার নিজে তাতে সুর দেন।বাউল গান গেয়ে বেড়ানোটা যেন নেশা শিল্পী নারায়ন বাউলের। কিন্তু আর্থিক কষ্ট তাঁকে কুড়ে কুড়ে খায়।এই কষ্টের মধ্যেই চলে তাঁর গলায় বাউলের নেশা।গ্রামেগঞ্জে সেই বাউল শুনতে ভিড়ও জমে যাচ্ছে।
প্রায় তিন দশক ধরে এই বাউল পেশার সঙ্গে নিজের নাম জড়িয়ে রেখেছেন শিল্পী নারায়ণ বাউল। সেই শৈশব থেকেই আপন খেয়ালে সৃষ্টির নেশায় তিনি মেতে ওঠা শুরু করেন। তবে বর্তমানে চারদিকে যে নেতিবাচক পরিবেশ চলছে সেই সময় এবং পরিবেশ বড়ই যন্ত্রণা দেয় এই মন ভোলা মানুষটির অন্তর্নিহিত স্বাধীন সত্তাকে।হয়তো সেই যন্ত্রনা থেকেই যেন কান্না বেরিয়ে আসে দোতারার শুকনো পেট থেকে।
ধূপগুড়ির আদি বাসিন্দা শিল্পী নারায়ণ বাউল।সময়, সমাজের অবস্থা থেকে তিনি তাঁর গান লেখার রসদ সংগ্রহ করেন।আর সেই রসদ দিয়েই তৈরী করেন বাউলের সুর।
বাউল জীবন প্রসঙ্গে শিল্পী নারায়ণ বাউল বলেন, ধূপগুড়িতে একটি লোকসঙ্গীতের স্কুল খোলার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর । সরকার থেকে মাত্র এক হাজার টাকা সন্মানিক ভাতা পাচ্ছেন। এই ভাতাতে এই বাজারে কিছুই হয় না,তবুও নেশার টানে ডুবে থাকেন বাউলে।
বাউলের প্রতি ভালোবাসা থেকে সঙ্গীত প্রেমী তন্ময় নন্দী বলেন, বাউল শিল্পীরা প্রায়ই এখানে আসেন। তাদের এই গানের মাধ্যমে সমাজের বর্তমান অবস্থা ফুটে ওঠে। আবার হারিয়ে যেতে থাকা এই বাউল গান বেঁচেও থাকে এই শিল্পীদের মাধ্যমে। সকলের উৎসাহ দেওয়া উচিত এইসব শিল্পীদের।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —
