সিকিমের প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে প্রকৃতির বিপর্যয়ে আটকে পড়েছিলেন এই গবেষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ প্রকৃতি যেন সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে সাজিয়েছে সিকিমকে। হিমালয় পাহাড়কে ঘিরেই রয়েছে অজস্র রহস্য, অজস্র বিস্ময়। কিন্তু সেই প্রকৃতির সুতো কোথায় যেন কেটে যাচ্ছে ইদানীং। প্রকৃতিকে তাঁর স্বাভাবিক ছন্দে চলার পথ আটকে দিচ্ছে কিছু মানুষ। ভোগের অসীম বাসনা থেকে কিছু মানুষ নানাভাবে প্রকৃতির ওপর অত্যাচার শুরু করেছে। ফলে প্রকৃতিও পাল্টা প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। প্রকৃতি তাঁর বিভিন্ন খামখেয়ালিপনায় বুঝিয়ে দিতে চাইছে,ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুূদ্র মানুষ তাঁকে দাসত্বে পরিনত করতে চাইলেও প্রকৃতি মানুষের দাসত্ব স্বীকার করতে রাজি নয়।প্রকৃতি থেকে মানুষের সৃষ্টি, প্রকৃতিতেই মানুষের পরিসমাপ্তি। কাজেই প্রকৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসা ও অকৃত্রিম শ্রদ্ধা মানুষ দেখাতে না পারলে প্রকৃতি নির্দয়ভাবে মানুষকে শাসন করবে।সিকিমের মহামায়া প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করতে এসেছিলেন একদল গবেষক ও ছাত্রছাত্রী।কিন্তু প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করতে এসে
হাড়িয়া ইউনিভার্সিটির অর্থনৈতিক বিভাগের সেই ছাত্রছাত্রীরা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েন। টানা দুদিন পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে তাদেরকে শিলিগুড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে । শনিবার শিলিগুড়িতে ফিরে আসা সেই ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে দেখা করলেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব। এ মেয়রের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার। এদিন সেই গবেষক ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে দেখা করে তাদেরকে সবরকম ভাবে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র। মোট ২৫ জন ছাত্রছাত্রী ও দুজন অধ্যাপক সেই টিমে রয়েছে। তারা মূলত সিকিমের প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করতে এসেছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে আচমকাই হড়পা বানে বিপর্যস্ত হয় সিকিমের জনজীবন। এই পরিস্থিতিতে তারা সেখানে আটকে পড়েন। এরপর শনিবার তাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনা হয়। শনিবার তাদেরকে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা ইয়ুথ হোস্টেলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে পুরসভার তরফে।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—