অহিংসার বার্তা ছড়িয়ে দিতে বিরাট সাধনায় নেমেছেন এই সাধকেরা

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে পড়ুক অহিংসার বাতাবরন।দিকে দিকে মানুষের মধ্যে প্রেমের বাতাবরণ তৈরি হোক।এই বার্তা নিয়ে পায়ে হেঁটে ওড়িশা থেকে প্রায় ছয় মাস আগে শিলিগুড়ি এসেছিলেন বিশিষ্ট সাধক
প্রশান্ত কুমার এবং কুমুদকুমার।সাড়ে পাঁচ মাস শিলিগুড়িতে থাকার পর এই দুই সাধক বুধবার শিলিগুড়ি থেকে অসমের উদ্দেশ্য রওনা দেবেন।তাদের কাছে কোনো মোবাইল নেই, সূর্য ডোবার পর তাঁরা কোনো খাদ্য গ্রহণ করেন না।অনেক কঠোর নিয়ম বা অনুশাসনের মধ্যে তাঁরা জীবন অতিবাহিত করেন।তাঁরা নিজেরা সব সুখভোগ ত্যাগ করে সাধনা করে চলেছেন,যাতে পৃথিবীটা ভালো থাকে।এই পৃথিবী হিংসামুক্ত থাকে।শিলিগুড়ি ছাড়ার আগে রবিবার শিলিগুড়ি তেরাপন্থ ভবনে এই দুই সাধক সকলকে আর্শীবাদ করেন। সাধকদের এই শিলিগুড়ি অবস্থান ছিল ঐতিহাসিক।তাদের সুন্দর অনুভূতি নিয়ে রবিবার সকালে শিলিগুড়ি তেরাপন্থ ভবনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা শ্রী জৈন শ্বেতাম্বর তেরাপন্থী সভা,শিলিগুড়ি শাখার সকল সদস্য মিলে সেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ওই দুই সাধকের আগামী যাত্রাপথ যাতে মঙ্গল হয় তারজন্য প্রার্থনা করা হয়।এই কমাসে শিলিগুড়ি থাকার সময় কোনো ভুল হয়ে থাকলে তারজন্য এদিন তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয় স্থানীয় শ্রী জৈন শ্বেতাম্বর তেরাপন্থী সভার তরফে।দুই সাধক সকলকে আর্শীবাদ প্রদান করেন।
শিলিগুড়িতে এই কমাস থাকার সময় সময় যারা বিশেষ সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে এদন সংবর্ধিত করা হয়।সেখানে সংবর্ধনা জানানো হয় খবরের ঘন্টাকেও।অহিংসার বার্তা দিকে দিকে ছড়িয়ে দিতে যে মহান কর্মসূচি এই দুই সাধক শুরু করেছেন বিরাট কৃচ্ছ্র সাধনার মাধ্যমে তা এক অতীব বিরল ঘটনা। বিশেষ করে পায়ে হেঁটে এই শান্তি যাত্রা এক ঐতিহাসিক ঘটনা হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এদিন সেই দুই মহান সাধকের একজন সাধক খবরের ঘন্টাকে বলেন,তাদের বার্তা একটিই তা হলো সর্বত্র অহিংসার পরিবেশ বজায় থাকুক।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—-