শিশুদের চোখে নতুন আশার আলো — মায়োপিয়া নিয়ন্ত্রণে যুগান্তকারী উদ্যোগ শিলিগুড়ির ‘দ্য হিমালয়ান আই ইন্সটিটিউট’-এর

নিজস্ব প্রতিবেদন:
আজকের প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের মধ্যে দ্রুত বাড়ছে চোখের মাইনাস পাওয়ার বা মায়োপিয়া— যা এখন বিশ্বের অন্যতম গুরুতর চক্ষু সমস্যায় পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ সময় মোবাইল, ট্যাব ও কম্পিউটারের স্ক্রিনে চোখ রেখে পড়াশোনা ও বিনোদনের অভ্যাসে শিশুদের দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে। এই পরিস্থিতিতে মায়োপিয়া নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসা নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলছে একের পর এক গবেষণা।

কিন্তু এ ক্ষেত্রে ভারতের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য নাম হয়ে উঠেছে শিলিগুড়ির বর্ধমান রোডের দ্য হিমালয়ান আই ইন্সটিটিউট। গত তিন বছর ধরে এখানে নিয়মিত চলছে বিশেষ ‘মায়োপিয়া ক্লিনিক’, যা উত্তরবঙ্গের প্রথম উদ্যোগ বললেই ভুল হবে না। শতাধিক শিশু ইতিমধ্যেই এখানে নিয়মিত চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটিয়েছে।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়— এই ক্লিনিক থেকেই সম্প্রতি চালু হয়েছে এমন এক বিশেষ ধরনের চশমার গ্লাস বা লেন্স, যা মায়োপিয়া নিয়ন্ত্রণে পৃথিবীর প্রথম উদ্ভাবন হিসেবে নজর কাড়ছে। এই উদ্ভাবনী লেন্স ইতিমধ্যেই দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কাছেও প্রশংসা কুড়িয়েছে।

দ্য হিমালয়ান আই ইন্সটিটিউটের মায়োপিয়া ক্লিনিকের প্রধান চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ স্নেহা বাত্রা জানিয়েছেন, “মায়োপিয়া এখন শুধুই চশমার পাওয়ার বাড়ার সমস্যা নয়, এটি ভবিষ্যতের জন্যও বিপজ্জনক হতে পারে। তাই শিশুদের চোখের যত্নে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই সচেতনতা ও নিয়মিত চোখ পরীক্ষা অত্যন্ত জরুরি।”

শিশু দিবসের প্রাক্কালে ডাঃ বাত্রার এই বার্তা শিশুদের সুস্থ দৃষ্টিশক্তির যত্নে নতুন দিগন্ত খুলে দিল— বলাই যায়।