নিজস্ব প্রতিবেদন:
দিনটি ছিল ৩০ নভেম্বর, ২০২৫। স্থান—শিলিগুড়ির সুভাষপল্লীর ভিবজিওর ক্লাব। সেখানেই সাদামাটা অথচ উষ্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হল শ্রীমতি রত্না বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মকাহিনি-ভিত্তিক বই ‘যদি ফিরে যাই’–এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।

আয়োজনের দায়িত্বে ছিল শিলিগুড়ি ফুলেশ্বরী নন্দিনী, সহযোগিতায় প্রাজ্ঞ ভারতী। পুরো অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন ফুলেশ্বরী নন্দিনীর প্রতিনিধি সুদীপ চৌধুরী।
বইটির মোড়ক উন্মোচনে উপস্থিত ছিলেন সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব—বিমল দাস, ভবতোষ চৌধুরী, অরূপ মৈত্র, সন্ধ্যা দত্ত ও গীতা চাকী।
তাঁদের উপস্থিতি ও শুভেচ্ছা বক্তব্যে অনুষ্ঠান আরও সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। সুগীত, আবৃত্তি ও আলোচনায় পুরো পরিবেশ মুখরিত হয়ে উঠেছিল। আমন্ত্রিত সকলেই মন দিয়ে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।আত্মকাহিনি ‘যদি ফিরে যাই’–এ একটি পরিবারকে কেন্দ্র করে ফুটে উঠেছে সত্তরের দশকের পারিবারিক জীবনের আনন্দ-বেদনা, নানান মজার ঘটনা, সেই সময়কার শিলিগুড়ির সামাজিক পরিধি ও সময়ের বিবর্তন।
পাশাপাশি বইটিতে রয়েছে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক জীবনের স্মৃতি, আর ভারতবর্ষের উত্তর ও দক্ষিণাংশের কিছু বাস্তবচিত্রও।
লেখিকা রত্না বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন—অতীতকে জানতে এবং বর্তমানকে বোঝার জন্য পাঠ্যাভ্যাসের বিকল্প নেই। বই পড়ার মধ্য দিয়েই মানুষ নিজের ভিতরকে ও সমাজকে নতুন করে আবিষ্কার করতে পারে—‘যদি ফিরে যাই’ যেন সেই আবিষ্কারেরই এক দরজা।

