নিজস্ব প্রতিবেদন:
প্রতি পূর্ণিমা তিথিতেই শিলিগুড়িতে নমামি গঙ্গে ও মহানন্দা বাঁচাও কমিটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয় মহানন্দা আরতি। নদীর প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা, ভক্তি ও দায়িত্ববোধ আরও গভীর করতে এই ধর্মীয়-সামাজিক আয়োজন বহুদিন ধরে নিয়মিতভাবে পালন করা হচ্ছে। বিশিষ্ট পরিবেশপ্রেমী ও সমাজসেবী জ্যোৎস্না আগরওয়ালার সক্রিয় তত্ত্বাবধানে অসংখ্য মানুষ মহানন্দা নদীর তীরে সমবেত হয়ে আরতিতে অংশ নেন।

৪ ডিসেম্বরের পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে এদিনও অনুষ্ঠিত হয় সেই পবিত্র আরতি অনুষ্ঠান। পূর্ণিমা, যা হিন্দু শাস্ত্রে শুভ শক্তির প্রতীক, মন-প্রাণকে পবিত্র করার সময় হিসেবে ধরা হয়। নদীর তীরে পূর্ণিমার আলোকচ্ছটায় আরতি সম্পন্ন হওয়া—আধ্যাত্মিক দৃষ্টিতে ভক্তি, শান্তি ও প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের নিবিড় সম্পর্কের এক বিশেষ প্রকাশ।
নদীকে মা-রূপে মানার সংস্কৃতি ভারতে প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। তাই পূর্ণিমায় নদীর আরতি শুধু ধর্মীয় আচারই নয়, পরিবেশ রক্ষার প্রতিশ্রুতির এক গভীর প্রতীক। মহানন্দার জলে চাঁদের আলো, তার সঙ্গে ভক্তদের সম্মিলিত প্রার্থনা—সব মিলিয়ে এদিনের আরতি অনুষ্ঠানে ভক্তিভাব ও পরিবেশ-সচেতনতার এক অনন্য মিলন ঘটেছে।
মহানন্দা বাঁচাও কমিটির সদস্যরা জানান, মানুষের ভক্তিভাবের পাশাপাশি নদীকে পরিষ্কার রাখা, তার অস্তিত্ব রক্ষার দায়িত্ব সকলের। পূর্ণিমার মতো পবিত্র দিনে নদীর তীরে এই আহ্বান আরও শক্তিশালীভাবে প্রতিধ্বনিত হয়।

