নিজস্ব প্রতিবেদন:
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে বা ডিএইচআর হলো ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী রেলপথ।উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল -এর উদ্যোগে ঘুম ফেস্টিভালের অংশ হিসেবে কার্সিয়ং রেলওয়ে স্টেশনে সফলভাবে আয়োজিত হলো তিন দিনব্যাপী ‘স্টেশন মহোৎসব’। পাহাড়ের সংস্কৃতি, সৃজনশীলতা ও ঐতিহ্যকে একসঙ্গে তুলে ধরার লক্ষ্যে আয়োজিত এই উৎসব সঙ্গীত, কবিতা, শিল্পকলা ও স্থানীয় মানুষের সরব অংশগ্রহণে হয়ে ওঠে বিশেষ আকর্ষণ।

মালিগাঁ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে এন এফ রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানান, এই মহোৎসবের মাধ্যমে পাহাড়ি অঞ্চলের শিল্প-সংস্কৃতিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক ধারার সঙ্গে যুক্ত করার এক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছে ডিএইচআর। বিশেষ করে দেশের স্বনামধন্য ক্রিয়েটিভ কালেক্টিভ Poets of Community-র সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো কার্সিয়ং-এ ‘ওপেন মাইক’ সংস্কৃতি উপস্থাপন করা হয়, যা স্থানীয় প্রতিভাদের জন্য একটি সৃজনশীল মঞ্চ তৈরি করেছে।
মহোৎসবের সূচনা হয় ২ ডিসেম্বর দুটি বর্ণিল সেশনের মাধ্যমে।
ওপেন মাইক ফর লোকাল আর্টিস্টস-এ কার্সিয়ং ও আশপাশের তরুণ-তরুণীরা কবিতা, গান, গল্প বলা, স্ট্যান্ড-আপ ইত্যাদি পরিবেশনার মাধ্যমে দর্শকদের মুগ্ধ করেন।
দিনের দ্বিতীয় পর্ব ইভনিং কিউরেটেড শোকেস-এ দেশ-বিদেশের আমন্ত্রিত শিল্পীরা বিভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি ও শিল্পরীতির বৈচিত্র্য তুলে ধরেন। কার্সিয়ং স্টেশন যেন রূপ নেয় এক আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক মঞ্চে।
এই তিন দিনে স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল প্রবন্ধ, আঁকা ও কবিতা লেখার প্রতিযোগিতা। শিশু-কিশোরদের উচ্ছ্বসিত অংশগ্রহণ কার্সিয়ং-এর তরুণ প্রজন্মের সৃজনশীল ক্ষমতাকে নতুনভাবে উদ্ভাসিত করে।
শেষ দিনে আয়োজিত উচ্চ-উদ্দীপনার মিউজিক ফেস্টিভ্যাল পাহাড়ি ব্যান্ড ও সংগীতশিল্পীদের পারফরম্যান্সে প্রাণ ফিরে পায় পুরো স্টেশন এলাকা। শেষে প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
গত ৫ ডিসেম্বর এক
প্রেস বিবৃতিতে কপিঞ্জল কিশোর শর্মা বলেন, কার্সিয়ং স্টেশন মহোৎসব শুধু একটি সাংস্কৃতিক আয়োজনই নয়—এটি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও স্থানীয় সমাজকে যুক্ত করার চলমান প্রচেষ্টার এক মূল্যবান সংযোজন। ঐতিহাসিক DHR-কে কেন্দ্র করে এই ধরনের উৎসব পাহাড়ি অঞ্চলের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং সামাজিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে।

