
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ করোনার প্রসঙ্গ তুলে কিছু বিত্তবান মানুষ গোপনে নিজেদের সম্পত্তি বৃদ্ধির নেশায় মেতেছেন বলে অভিযোগ । করোনা ইস্যু তুলে আর্থিক সঙ্গতিপূর্ন কিছু মানুষ বিভিন্ন মানুষের প্রাপ্য বিল কমিয়ে নিজের সম্পত্তি বৃদ্ধির দিকে নজর দিয়েছেন বলে অভিযোগ । এইসব বিত্তবানদের কাছে গরিব, মধ্যবিত্তরা চুলোর দুয়ারে গিয়ে মরুক কিছু যায় আসে না। সমাজে এইরকম বিত্তবান-অসুররা যেমন রয়েছে তেমনই আবার বহু ভালো মানুষ এবং সমাজসেবীও রয়েছেন। এদেরই একজন শিলিগুড়ি মহকুমার বিধাননগর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শিবেশ ভৌমিক।

এর আগে করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর শিবেশবাবু নিজের প্লাজমা দান করেছেন। এবার পুজোর মুখে বিধান নগর এলাকার বিভিন্ন চা বাগান ও বস্তির দুঃস্থ শিশুদের মধ্যে নতুন জামাপ্যান্ট বিলি করলেন তিনি । ৬০০ জন শিশুর মুখে এদিন হাসি ফুটিয়ে তোলেন শিবেশবাবু। মানবিক মুখের এ এক সুন্দর নজির। এদিন তাঁকে এই মহৎ কাজের জন্য সহযোগিতা করেন বিধাননগর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও সমাজসেবী বাপন দাস সহ আরও অনেকে। বিধাননগর এলাকার দুজন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শিবেশ ভৌমিক বিধাননগর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হলেও তাঁর আর একটি বড় পরিচয় তিনি একজন সমাজসেবী। করোনা লকডাউনের সময়ও তিনি বহু অসহায় দুঃস্থ মানুষের পাশে উপহার বা ত্রান নিয়ে পাশে দাঁড়ান। করোনার আগেও মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়িয়ে তিনি ভালো মানুষ হিসাবে সুনাম অর্জন করেছেন। এদিন শিবেশবাবুর কাছ থেকে নতুন জামাপ্যান্ট পাওয়ার পর কিছু শিশুর অভিভাবক নিজেদের নাম প্রকাশ না করে বলেন, করোনা লকডাউনের ফলে আজ সমাজে গরিব এবং মধ্যবিত্তদের হাল শোচনীয় । বহু ঘরে বহু ছেলেমেয়ে করোনার ছোবলে কাজ খুইয়েছে। অনেকে আত্মহত্যা করেছে। অনেকে পেশা পরিবর্তন করেছে। অথচ কিছু উচ্চ বিত্ত এবং কিছু উচ্চ মধ্যবিত্ত হা করে সব তাকিয়ে দেখছে যেন চিড়িয়াখানা দেখছে । এইসব অসুররুপী কিছু সংবেদনহীন বিত্তবান করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর। এদের আজ চিহ্নিত করার সময় এসেছে বলে ওইসব অভিভাবকরা অভিমত দেন।
#ব্যতিক্রমী_শিবেশনিজস্ব প্রতিবেদন ঃ করোনার প্রসঙ্গ তুলে কিছু বিত্তবান মানুষ গোপনে নিজেদের সম্পত্তি বৃদ্ধির নেশায়…
Posted by Khabarer Ghanta on Wednesday, October 14, 2020