সৃজনশীল কাজ মনের চঞ্চলতা ও অবসাদ দূর করে দেয়, লিখেছেন রিঙ্কু ঘোষ

শিল্পী পালিতঃ শিলিগুড়ি অরবিন্দ পল্লীর রিঙ্কু ঘোষ আজকের আত্মকথায় লিখেছেন তাঁর সৃজনমূলক জীবনের কথা—

নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রথমেই অনেক ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানাই খবরের ঘন্টার সহসম্পাদিকা বীণাপাণি শিল্পীদিকে। তাঁর জন্য আজ আমি আপনাদের সামনে আসতে পেরেছি।
লেখক এর ভাষায় বলতে ইচ্ছে হয়, জীবন হলো পেন্সিলে আঁকা এক ছবির নাম যার কোন অংশ রাবার দিয়ে মোছা যায় না। তবু এই স্বল্প পরিসরে কিছু কথা আপনাদের সামনে শেয়ার করতে চাই, আমি সেই অর্থে কোন বড় শিল্পী নই। ছোটবেলা থেকে আমার নাচ , গান, আবৃত্তির প্রতি খুব শখ ছিল। মায়ের কাছে আমার প্রথম সংগীত শিক্ষা শুরু হয়। পরবর্তীকালে মা আমার সংগীত গুরু ঈশ্বর শরদিন্দু মনে পড়ে আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন পাড়ায় পাড়ায় রবীন্দ্রজয়ন্তী হত। সেই সব অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতাম। রবি ঠাকুরের গান আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালোবাসি। পাশাপাশি শুভ দাশগুপ্ত, সুবোধ সরকার, জয় গোস্বামী তাদের লেখাও মন ছুঁয়ে যায়। আবৃত্তিটা আমার ভালোবাসার জায়গা অবশ্যই। কিছু প্রিয় মানুষের অনুপ্রেরণায় আরো উৎসাহিত করেছে আমায়। তবে আমার মনে হয় এইসব সৃজনশীল কাজ মনের চঞ্চলতা ও অবসাদ দূর করে দেয় । পরিশেষে সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। সকলেই সুস্থ থাকুন ঈশ্বরের কাছে এই কামনা করি।

রিঙ্কু ঘোষ, অরবিন্দ পল্লী, শিলিগুড়ি