গানই তাঁর স্বপ্ন-সাধনা, গান নিয়েই আরও এগোতে চান তুলিকা

শিল্পী পালিত ঃ সকলকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা। ২০২০টা করোনার মধ্যে সকলের কষ্টে কেটেছে। এখনও যে সব কষ্ট বিদায় নিয়েছে তা কিন্তু নয়। অর্থনৈতিক সমস্যা করোনার কারনে সকলেরই দেখা দিয়েছে। তাছাড়া করোনাও বিদায় নেয়নি। এখনো আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আবার শুরু হল এই ওয়েবপোর্টালের আত্মকথা। আজ শিলিগুড়ি ভারত নগরের তুলিকা সরকারের কথা মেলে ধরা হলো—

নিজের কথা লিখতে গিয়ে ছোটোবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে। আমার জন্ম ৪ঠা চৈত্র ধূপগুড়িতে। আমি ছিলাম আমার মা বাবার প্রথম সন্তান। বাড়ির সবার বড় আদরের ছিলাম আমি। না চাইতে সব কিছু পেয়ে যেতাম আমি। আমার বাবা ছিলেন ARMY OFFICER ও মা ছিলেন গৃহবধূ। আমার কিছুদিন পর আমার বোন হলো। আমি আমার বোনের মধ্যে তিন বছরের তফাৎ হলেও আমাদের একসাথে গান নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। আমার মায়ের কাছে চার বছর বয়স থেকে আমার গান শেখা। পরে আমার ছোটো কাকার বন্ধু বাপ্পা কাকা (সুভাষ রায় চৌধরী) ও তবলায় – আনন্দ দেব শর্মা (স্যার) এর কাছে শেখা শুরু। ধুপগুরির বৈরতিগুড়ি হাই স্কুলে আমার পড়াশোনা।

এর মধ্যে আমার বাবা ১৯৯৪ সালে মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার আগে আমার মাকে বলতেন যে ও বোধহয় গান শিখতে পারবে না। কিন্তু অবিশ্বাস্য ঘটনা হলো বাবা মারা যাওয়ার তিন মাস পর আমি বই মেলায় প্রথম কোরাস গান করি ও তার কিছু দিন পরে সর্বসাধারণ বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করি। তখন আমার বয়স মাত্র ছয় বছর। এরপর থেকে আমার গান নিয়ে পথ চলা শুরু। আমি প্রচুর প্রোগ্রাম করেছি ও প্রচুর পুরষ্কার পেয়েছি। রেডিওতে ছোটদের আসরে গানও করতাম। ২০০৩ সালে ক‍্যাসেট করার সুযোগও পেয়েছিলাম কিন্তু কোনো কারণবশতঃ আমি কলকাতাতে যেতে পারিনি বলে এমন সুযোগ থেকে বঞ্চিত হই! এরপর গানের এক একটি পরীক্ষা দিয়ে আমি সফলতা অর্জন করি।

আমার ১৯ বছর বয়সে আমার বিবাহ হয় এবং এই সুত্রে আমার শিলিগুড়িতে আসা। শশুর বাড়িতে শাশুড়ি মা ও স্বামীর উদ্যেগে আমার গানের পথে এগিয়ে যাওয়া। এখানে অনেক শিক্ষা গুরুর সান্নিধ্যে আসা এবং মিউজিক ডিরেক্টর – বিশ্বরূপ ঘোষ দস্তিদার এবং তবলায় – সুবীর অধিকারী মহাশয়ের কাছে তালিম নেওয়া । ওনাদের সান্নিধ্যে থেকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সফলতা পেয়েছি এবং বিভিন্ন টেলভিশন চ্যানেল ও দূরদর্শনে গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছি।

এরপর স্বামী – স্বপন সরকারের সহযোগিতায় আমার একটি গানের স্কুল শুরু করেছি যার নাম – SHUROBITAN ( সুরবিতান)।১১ বছর আগে ২ জন ছাত্র দ্বারা শুরু এখন বর্তমানে ৫০ জন ছাত্র – ছাত্রী নিয়ে আমার পথ চলা। এখন গানই আমার সাধনা – গানই আমার স্বপ্ন।জীবনে গান নিয়ে আরও এগিয়ে যেতে চাই।

তুলিকা সরকার
সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্ট
ভারত নগর
শিলিগুড়ি